ওয়ান ডে ক্রিকেটে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে মোট ৩ বার৷ শ্রীলঙ্কা প্রথম ২ বার জিতলেও শেষ সাক্ষাতে আফগানরা বিধ্বস্ত করেছে সিংহলিদের৷ বিশ্বকাপের আসরে দু’দল একবার মাত্র একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে৷ গত বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা পরাস্ত করে আফগানদের৷
তারও আগে ২০১৪ এশিয়া কাপের ম্যাচে দু’দলের প্রথম সাক্ষাতে শ্রীলঙ্কা জয় তুলে নেয় যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানদের বিরুদ্ধে৷ তবে গত বছর এশিয়া কাপ থেকে দ্বীপরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে আফগানিস্তান৷ এবার বিশ্বকাপের আসরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হিসাব মিটিয়ে নিতে মরিয়া দেখাচ্ছে আফগানদের৷
কার্ডিফের প্রথম ইনিংসে নজর দিলে আফগানিস্তানের দাপটই চোখে পড়া স্বাভাবিক৷ বোলিং সহায়ক পরিস্থিতিতে টসে জিতে আফগান অধিনায়ক গুলবদিন নায়েব প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কাকে৷ শুরুটা দারুণ করলেও ওপেনিং জুটি ভাঙার পর থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা৷
দিমুথ করুণারত্নে ও কুশল পেরেরার ওপেনিং জুটি ১৩ ওভারে ৯২ রান তোলে৷ ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই করুণারত্নেকে আউট করেন মহম্মদ নবি৷ আউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ৪৫ বলে ৩০ রান করেন৷
থিরিমানেকে সঙ্গে নিয়ে পেরেরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বটে৷ তবে ২২ তম ওভারে মহম্মদ নবি তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কা শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন৷ তিনি ফিরিয়ে দেন থিরিমানে (২৫), কুশল মেন্ডিস (০) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে (০)৷ ধনঞ্জয়া ডি’সিলভা খাতা খোলার আগেই উইকেট দেন হামিদ হাসানকে৷ থিসারা পেরেরা আত্মহত্যার ঢংয়ে ২ রান করে রানআউট হন৷
উদানা ১০ রান করে দাওলত জাদরানের বলে বোল্ড হন৷ কুশল পেরেরার মূল্যবান উইকেটটি তুলে নেন রশিদ খান৷ সাজঘরে ফেরার আগে পেরেরা ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮১ বলে ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন৷
পেরেরা আউট হওয়ার পরেই বৃষ্টিতে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়৷ সেই সময় শ্রীলঙ্কা ৩৩ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রান তুলেছে৷ মহম্মদ নবি ৯ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন৷ বৃষ্টির পর কোটার বাকি ১ ওভারে আর একজন সিংহলি ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে পারলেই বিশ্বকাপের আসরে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করবেন তিনি৷