ইস্টারের সকালে চার্চে আচমকা ভয়াবহ হামলা। শ’য়ে শ’য়ে মানুষের মৃত্যু। রক্তের দাগ শুকোয়নি এখনও। ফের একবার হামলার আশঙ্কা সেই শ্রীলঙ্কায়। ধর্মীয় স্থানে ফের একইভাবে হামলা হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিল আমেরিকা।
সপ্তাহান্তে সেই হামলা চালানো হতে পারে বলে রিপোর্ট দিয়েছে শ্রীলঙ্কার মার্কিন দূতাবাস। কারণ শ্রীলঙ্কায় এখনও আত্মঘাতী জঙ্গিদের উপস্থিতি রয়েছে বলে অনুমান করছে আমেরিকা।
শ্রীলঙ্কার মার্কিন দূতাবাসের তরফ থেকে একটি ট্যুইট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উইকেন্ডে অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ধর্মীয় স্থানগুলিতে যেন কেউ না যায়। বড় কোনও জমায়েত যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রানিল উইকরেমেসিংঘে জানিয়েছেন যে তাঁর অনুমান সত্যি হলে এখনও লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। সম্ভবত তাদের কাছ আছে বোমাও। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে অনেক সন্দেহভাজনকে বন্দি করা হলেও, এখনও অনেকে মুক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এরই মধ্যে পুলিশ জানিয়েছে ইস্টারে হামলায় তিন মহিলা সহ চারজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। হামলার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও কলম্বো ও নেগোম্বো শহরে এখনও দোকানপাট সব বন্ধ। মানুষজন ঘর থেকে বেরোচ্ছে না।
ইস্টার রবিবারে তিনটি চার্চ এবং তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়৷ যাতে প্রায় ২৫৩ জন নিহত হন এবং ৫০০-রও বেশি জন আহত৷ এর পরেও আরও বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয় শ্রীলঙ্কায়৷ মঙ্গলবার জানা যায়, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার বদলা নিতে শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আইএস জঙ্গিরা৷ প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করে শ্রীলঙ্কা সরকার৷
এদিকে, বৃহস্পতিবারেই পদত্যাগ করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্ণান্দো৷ শ্রীলঙ্কা বিস্ফোরণের পর প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে পদত্যাগ দাবি করেন৷ এরপরে বৃহস্পতিবার ফার্ণান্দো তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন৷
ঘটনার দু’দিন পরে দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন৷ সংগঠনের এএমএকিউ নামের সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। তবে আইএসের তরফ থেকে সরাসরি এই দায় স্বীকার করা হয়নি৷ এমনকি এই ঘটনায় জড়িত থাকার স্বপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণও দেওয়া হয়নি৷