অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের মোহম্মদ হাফিজ। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে বোলিং অ্যাকশন প্রশ্ন বিদ্ধ হওয়াতে বেশ কয়েকবার শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে এই পাকিস্তানিকে। সর্বশেষ কাউন্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার বোলিং অ্যাকশন। জুলাই মাসে শুরু হওয়া ভাইটালিটি ব্লাস্টে এবার মিডলসেক্সের হয়ে খেলতে নামে হাফিজ। এবি ডি ভিলিয়ার্সের বদলি হিসেবে দলটিতে সুযোগ পান এই পাকিস্তানি।
৩০ আগস্ট সমারসেটের বিপক্ষে একটি ম্যাচে তার বোলিং নিয়ে আপত্তি জানান আম্পায়াররা। পরে লাফবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব টেস্টে তার অ্যাকশনে অসঙ্গতি দেখা যায়। অ্যাকশন বৈধ না হওয়াতে তাকে ইংল্যান্ডের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
হাফিজ নিজে অবশ্য পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলেন না সেই রিপোর্টে।
বিশেষ করে তার অফব্রেকের সময় কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি ভাঙ্গে। পরে হাফিজ আপিল করে। তবে তাতে লাভ হয়নি। বোলিং অ্যাকশন বৈধ না হওয়াতে ইসিবির রিভিউ কমিটি তাকে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ করেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন। এরপরও বেশ কয়েকবার বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। আবার অ্যাকশন শুধরে ফিরেও এসেছেন। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা শেষে বোলিং শুরু করেন ২০১৮ সালের মে মাসে। তবে একই বছরের নভেম্বরে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আবার। যদিও এবার সন্দেহ আম্পায়ার নন, বরং কিউই ব্যাটসম্যান রস টেলর করেন। আম্পায়াররা অবশ্য সেটি পাত্তা দেয়নি।