আরব আমিরাতের সেনারা ইয়েমেনের গুরত্বপূর্ণ দ্বীপ সকোত্রা সমুদ্র ও বন্দরের দখল নিয়েছে। ইয়েমেনি সরকারের এক কর্মকর্তা বলছেন সকোত্রায় আমিরাত যা করছে তা আগ্রাসন।
বৃহস্পতিবার চারটি সামরিক বিমান ও একশোরও বেশি আমিরাতের সৈন্য মোতায়েনের পর শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওবায়েদ বিন দাঘরসহ দশ মন্ত্রীকে দ্বীপ ত্যাগ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি ৯৯ বছরের জন্য সকোত্রা দ্বীপটি লিজ নিয়ে সেখানে সামরিক কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দেয় আমিরাত। তবে এর পরের ঘটনা খুব একটা স্পষ্ট নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইয়েমেনের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, ইয়েমেনি সরকারের উপিস্থিতি সত্ত্বেও আমিরাত সকোত্রা দ্বীপের বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দরের দখল নিয়েছে। আমিরাত যা করছে তা আগ্রাসন।
এদিকে সৌদি আরব জানিয়েছেন, সকোত্রার ঘটনা তদন্তে তারা তদন্ত দল পাঠাবে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সকোত্রা দ্বীপে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বাস। সেখানে যুদ্ধ বিমান ও বড় সামরিক যান চলাচলের মতো তিন হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। সোমালিল্যান্ড উপকূলের কাছাকাছি অবস্থিত দ্বীপ সকোত্রা। সম্প্রতি সোমালিল্যান্ডে একটি বাণিজ্যিক বন্দর স্থাপনে বিপুল বিনিয়োগ করেছে আমিরাত।
দ্বীপটির সরকারি ভবনগুলোতে আমিরাতের পতাকা ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি টানানো হয়েছে।
সকোট্রা দ্বীপটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দ্বীপে বিরল অ্যাডেনিয়াম ওবেসামে রয়েছে ডেজার্ট রোজ নামে ‘বটল ট্রি’ গাছ পাওয়া যায়। এ গাছটি যে স্থানে রয়েছে, সেখানকার ভূপ্রকৃতিও অসাধারণ। অনেকেই বলেন সে স্থানটি দেখতে পৃথিবীর বাইরের কোনো স্থানের মতো। রাজনৈতিক বিরোধের প্রভাবে দ্বীপটির পরিবেশও বিপণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।