নিজের গায়ের রঙ নিয়ে আবারো মুখ খুললেন সেরেনা উইলিয়ামস। কৃষ্ণাঙ্গ বলে শ্বেতাঙ্গ মানুষের চেয়ে তাকে অন্যভাবে দেখা হয় বলেও জানালেন।
এছাড়া মানুষের সামনে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য শ্বেতাঙ্গ টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভার চেয়ে দ্বিগুণ কাজ করতে হয় বলে জানালেন সেরেনা। যুক্তরাষ্ট্রের এ টেনিস তারকা এখন গর্ভবতী। আগামী মাসে প্রথম সন্তানের মা হবেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে তার অন্তঃসত্ত্বা ও গায়ের রঙ নিয়ে অনেক কথা বললেন। গায়ের রঙ কালো বলে অনেকে তাকে পুরুষ বলে বিবেচনা করে বলেও জানালেন সেরেনা। উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি- ২৩ গ্র্যান্ড শিরোপার মালিক সেরেনা। অন্যদিকে রাশিয়ার টেনিস সুন্দরী মারিয়া শারাপোভা ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৫ গ্র্যান্ড সøাম শিরোপা। নিষিদ্ধ ওষুধ সেবানের দায়ে ১৫ মাস নিষেধাজ্ঞাও পোহাতে হয় তাকে।
কিন্তু সেরেনার জীবনে এমন কোনো ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এই দুই তারকার কোর্টের লড়াই ছিল দেখার মতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাদের লড়াইটা একপেশে করে ফেলেছেন সেরেনা। শারাপোভার টেনিস ক্যারিয়ার সেরেনার ক্যারিয়ারের ধারেকাছেও নেই। তারপরও মানুষের সামনে নিজেকে প্রমাণ করতে শারাপোভার চেয়ে তার দ্বিগুণ ভাল কাজ করতে হয় বলে জানালেন সেরেনা, ‘আমার কাছে মনে হয়, মানুষ আমাকে পুরুষ মনে করে। এটা সত্যিই অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। অনেক হতাশাকর। আমার বিশ্বাস, কোনো মেয়ে লকার রুমে গিয়ে বলবে- সেরেনা অনেক ভাল মেয়ে। সে দারুণ। কিন্তু মারিয়া শারাপোভা হয়তো কখনো এমনটা বলবে না। কারণ, সে জনসম্মুখে ‘সুন্দর’ শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। মানুষও তাকে সুন্দর মনে করে। কিন্তু এটা কেন? কারণ, আমি কালো।
আর এ কারণেই আমাকে নাকে পুরুষের মতো লাগে।’ ৩৫ বচল বয়সী সেরেনা আরো বলেন, ‘আফ্রিকান-আমেরিকানদের নিজেদের প্রমাণ করতে দ্বিগুণ ভালো কাজ করতে হয়। বিশেষকরে মেয়েদের। মানুষের সামনে নিজেকে ভালো প্রমাণ করতে আমাকেও শারাপোভার চেয়ে দ্বিগুণ কাজ করতে হয়। আমি সেটা ভালোভাবেই করেছি।শারাপোভার একটি আত্মজীবনীমূলক বই বের হতে যাচ্ছে। সেখানে সেরেনা সম্পর্কে শারাপোভার মন্তব্য আছে। শারাপোভার কাছে হেরে একবার নাকি সেরেনা তাকে গালি দিয়েছিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সেরেনা।
কিন্তু ‘বুড়ো’ বয়সেও দু’জনের মধ্যে যে রেষারেষি রয়ে গেছে সেটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। সন্তান জন্ম দেয়ার পর সেরেনা আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার ওপেনে কোর্টে ফিরবেন বলে জানাচ্ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি সেটা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেন, ‘এটা হয়তো ভয়ঙ্কর একটি পরিকল্পনা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে আমার সন্তান জন্ম দেয়ার তিন মাস হবে। এত অল্প সময়ে কোর্টে ফিরতে পারবো কি-না জানি না। ব্যাপারটা কঠিন হবে। তবে আশা করছি।’