আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ভাষায়,
‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’-
কিন্তু অধিকারের বেলায় কোন কিছুই তাদের জন্য সহজ ছিল না। এই যেমন ধরুন তাদের ভোটাধিকার। ১৮৯৩ সালের পূর্বে বিশ্বের কোন দেশে নারীদের ভোটাধিকারের সুযোগ ছিল না। ভাবা যায়!
১৮৯৩ সালে বিশ্বে প্রথম নিউজিল্যান্ডের নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে। তবে সে সময় নারীরা ভোটাধিকার পেলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন না।
বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকার নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে তার ও অনেক পরে। এই ভোটাধিকার কিন্তু তারা এমনি এমনি অর্জন করেনি। এ জন্য তাদের অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে ।
১৮৭৮ সালে আমেরিকার কংগ্রেসে প্রথম এটা নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ইতিহাস অনেক গরিয়েছে আমেরিকার সংবিধান সংশোধন নিয়ে। অবশেষে ১৯ মে ১৯১৯ আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউজ অভ রেপ্রেজেন্টেটিভ্স এ নারীদের ভোটাধিকারের জন্য সংবিধান সংশোধন বিলটি পাশ হয়। এরপর এটা আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেট এ উত্থাপিত হয়।
উচ্চকক্ষ সেনেট এই সংশোধন বিলটি পাশের জন্য রাজ্যগুলোতে পাঠায়। সংশোধনীটি পাশের জন্য কমপক্ষে ৩৬ টি রাজ্যর সমর্থন দরকার ছিল।
অবশেষে ১৯২০ সালের ইতিহাসের আজকের এই দিনে ৩৬ তম রাজ্য হিসেবে টেনিসি বিলটিতে সমর্থন করার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা পায় আমেরিকায় নারীদের ভোটাধিকার।
আমেরিকার ইতিহাসে এটা ছিল ১৯ তম সংবিধান সংশোধন। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।