উত্তর কোরিয়া বলেছে, আমেরিকা নিজের স্বার্থে পরমাণু সংলাপ থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প প্রশাসন সুবিধা পাওয়ার জন্য এ পরিকল্পনা করছে। এ অবস্থায় পরমাণু আলোচনার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি থাইয়ে সং বলেন, আলোচনার ব্যাপারে আমেরিকার আহ্বান নিতান্তই উত্তর কোরিয়াকে বোকা বানানোর কৌশল ছিল এবং এই সংলাপের কথা বলে ওয়াশিংটন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুবিধা নিতে চায়।
উত্তর কোরিয়ার এ মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত আমেরিকাকে তার শত্রুতাপূর্ণ নীতি পরিবর্তনের জন্য সময়সীমা দেয়া হলো। আমেরিকা সেটি গ্রহণ করবে কিনা তা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
রি থাইয়ে সং বলেন, “আলোচনা থেকে সরে না আসার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়া সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করেছে এবং নিজেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন যা কিছু করার আমেরিকাকেই করতে হবে; বিষয়টি এখন তাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। তারা একে ক্রিসমাস দিবসের উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।”
পরমাণু ইস্যুতে ২০১৮ সাল থেকে আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তিনদফা সংলাপে বসেছে। তবে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু মুক্ত করার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত নিতে দেখা যায় নি।
আমেরিকা বলছে, উত্তর কোরিয়াকে তার পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে হবে কিন্তু উত্তর কোরিয়া বলছে- পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগ করার আগে পিয়ংইয়ংয়ের উপর থেকে ওয়াশিংটনকে তার একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।-পার্স টুডে।