আম খেতে ভালবাসেন না, এ দেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।এখন বাজারের আনাচে কানাচে আমের পসরা। কাঁচা হোক বা পাকা, প্রায় প্রতিদিনের বাজারের সঙ্গেই আম আসছে বাড়িতে। চেটে পুটে আম তো সকলেই খান, কিন্তু ফেলা যায় আমের আঁটি। ভাবছেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু জানেন কি, আমের আঁটিও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর।
একাধিক পরীক্ষায় প্রমাণিত, ১০০ গ্রাম আমের আঁটিতে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। আসুন এ বার আমের আঁটির অজানা ৫টি আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
প্রথমে আমের আঁটি শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এ বার জেনে নিন আমের আঁটির গুঁড়োর আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ।
♦খুসকির সমস্যায় জেরবার? ২-৩ চামচ সর্ষের তেলের সঙ্গে এক চিমটে আমের আঁটির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভাল করে মালিশ করুন। এতে চুল হবে উজ্জ্বল আর দূর হবে খুসকির সমস্যা।
♦ শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের পরিচর্যায় সর্ষের তেলের সঙ্গে আমের আঁটির গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে অন্তত একবার মালিশ করে দেখুন। রুক্ষ ভাব কেটে গিয়ে ত্বক হয়ে উঠবে কোমল, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
♦ ঝকঝকে দাঁত আর সুস্থ মাড়ি পেতে চান? আমের আঁটির গুঁড়ো মাজনের মতো ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন।
♦পিঁপড়ে, মৌমাছি, বোলতা কামড়ালে মারাত্মক জ্বালা-যন্ত্রণা করে। আক্রান্ত স্থানে আমের রস বা আমের আঁটির গুঁড়ো লাগালে সাময়িক ভাবে ব্যথার বোধ দ্রুত কমে যায়।
♦ যে কোনও খাবারের সঙ্গে আমের আঁটির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারলে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।