সম্প্রতি একের পর এক বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা৷ মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০০ জন মানুষের৷ ইস্টার উৎসবের দিন শ্রীলঙ্কার হোটেল ও গির্জায় বোমা হামলা চালিয়ে হত্যার মিছিল শুরু করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা৷ ওই ঘটনার পরই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা৷
শনিবার সেই জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার৷
দেশটির সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার৷ হ্রাস পেয়েছে জঙ্গি হামলার হুমকিও৷ তবে অবশিষ্ট সন্দেহভাজনদের খোঁজে অভিযান চলতে থাকায় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে৷ শ্রীলঙ্কার একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত বয়ান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেছেন, “জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং জনগণের জরুরি সেবা ও সরবরাহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে৷”
জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ায় শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী আরও এক মাসের জন্য জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে৷ আইনানুযায়ী এই ক্ষমতা বলে শ্রীলঙ্কার পুলিশ ও সামরিক বাহিনী আদালতের নির্দেশ ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে এবং ওই হামলার পর এ পর্যন্ত শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে৷
২১ এপ্রিল, সকাল ৮.৪৫ নাগাদ ৩টি গির্জা এবং ৩টি বিলাসবহুল হোটেলে পর পর বিস্ফোরণে এভাবেই শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রবিবাসরীয় দিনটি৷ ছটি বিস্ফোরণেই থেমে থাকেনি৷ এরপর আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে৷ ইস্টার সানডেতে গীর্জায় শান্তমনে প্রার্থনায় রত ছিলেন অনেকে৷ কিন্তু সেই শান্ত মনেই হঠাৎই থাবা বসিয়েছিল আতঙ্ক, রক্তাক্ত হয়ে উঠেঠিল ইস্টার সানডে৷ শ্রীলঙ্কার হোটেল ও গির্জায় চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)৷ পাশাপাশি এই সন্ত্রাসবাদী হামলাতে জড়িত থাকার দায়ে তাওহীদ জামাত (এনটিজে) ও জামাতি মিল্লাতু ইব্রাহিমকে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা৷