বর্ষার আগমনের মধ্যেই খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, “বৃষ্টি না থাকায় গরম লাগছে বেশি। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। বৃষ্টির পর শুক্রবার থেকে তাপদাহ কেটে যাবে। বর্ষার আগমনে স্বস্তি আসবে নাগরিক জীবনে।”
তিনি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) এখন বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। বর্ষার আগমনের মধ্যে বাতাসে বেশি আর্দ্রতা থাকায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে। দু’দিনের জন্য তাপদাহ থাকলেও তা কেটে যাবে শিগগির।”
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সাতক্ষীরায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হলেও দেশের অধিকাংশ জায়গায় কোথাও বৃষ্টি ছিল না। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় (রোববারের মধ্যে) দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমীবায়ু বাংলাদেশের উপর বিস্তার লাভ করতে পারে।