আলজেরিয়ায় গত ছয় সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে চলা অস্থিরতার মধ্যে শুক্রবার সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেল আজিজ বুতেফলিকার পদত্যাগের দাবিতে আলজেরিয়ার রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে লাখ লাখ মানুষ। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়লে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।
২০১৩ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি কার্যত পক্ষাঘাতগ্রস্ত। বয়স ৮২ বছর হলেও পঞ্চমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে চান তিনি। প্রেসিডেন্ট বুতেফলিকা’র সমালোচকরা তাঁকে বলেন ‘জীবন্ত মৃত’। বিশ্লেষকরা বলছেন, আলজেরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পক্ষ এক হওয়ায় তার ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অস্থিরতার অবসান ঘটাতে এগিয়ে এসেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা দায়িত্ব পালনে প্রেসিডেন্ট বুতেফলিকাকে অযোগ্য ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক ন্যাশনালে র্যালি ফর ডেমোক্রেসি (আরএনডি)।
শুক্রবার দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রায় ১০ লাখ লোক অংশ নিয়েছেন এ বিক্ষোভে। তবে সরকার বলছে এই সংখ্যা কম। অনেক বিক্ষোভকারী বেসামরিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টাকে নাকচ করে দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন রয়টার্সকে বলেন, প্রেসিডেন্ট এবং তার ঘনিষ্ঠদের অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। জনগণ এ সরকারের বিদায় চায়। আলজেরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী আজিজ বুতেফলিকা পদত্যাগ করলে পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষের সভাপতি আব্দেল কাদের বেনসালাহ কমপক্ষে ৪৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হবেন।