জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত জাতীয় আয়কর মেলায় গত ৯ বছরে ১৩ হাজার ১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকার কর আদায় হয়েছে। এই ৯ বছরে আয়কর মেলা থেকে ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৮ জন ব্যবসায়ী, সরকারি ও বেসরকারি নাগরিক সেবা পেয়েছেন। তাদের ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা, রিটার্ন গ্রহণ, কর পরিশোধ এবং কর বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক সেবা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর জানায়, ব্যবসায়ি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আয়কর সম্পর্কে ভীতি দূর করার পাশাপাশি কর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলা শুরু হয়। এবার দেশব্যাপী সর্বাধিক সংখ্যক ভেন্যুতে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হলো। ১৩-১৯ নভেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে ৭ দিন, ৫৬টি জেলা শহরে ৪ দিন, ৩২টি উপজেলায় ২ দিন এবং ৭০টি উপজেলায় দিনব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলার স্টল বাড়িয়ে ১৬৭টি করা হয়। কর আহরণের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায় বিচার ও সমতা নিশ্চিত করাই কর বিভাগের প্রধান কাজ।
এবারের মেলায় গতবারের চেয়ে করের পরিমাণ বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। রিটার্ন জমা বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। আর সেবা গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে ৪ শতাংশ। ২০১৮ সালে আয়কর মেলায় ২ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকার কর আদায় হয়েছে। এবারের মেলায় রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। গত বছর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৭ জন। কর আদায়ের পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ২১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সেবা নিয়েছিলেন ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৭৩ জন।
মেলায় এবার বাড়তি সংযোজন হিসেবে ছিল অডিও ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে কর শিক্ষণ। এর মাধ্যমে করদাতারা আধুনিক পদ্ধতিতে কর সংক্রান্ত সব ধরণের সেবা জানতে পারেন। এছাড়া সাত দিনে সাতটি স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালিয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় শিক্ষণ ফোরামে।
এবার মেলায় নতুন কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নেয়াসহ কর সংক্রান্ত সব সেবা মিলেছে এক ছাদের নিচে। মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ও নারীদের জন্য আলাদা বুথসহ বাড়তি সুবিধা হিসেবে যাতায়াতের জন্য ছিলো শাটল বাসের ব্যবস্থা। বাসগুলো চলেছে রাজধানীর টিএসসি, রামপুরা, বেইলি রোড, মতিঝিল, মিরপুর ও উত্তরা রোডে। কোন হয়রানি ছাড়া একই ছাদের নিচে সব সেবা পেয়ে খুশি করদাতারা। সূত্রঃ আমাদের অর্থনীতি।