অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসাবে শুরুটা মোটেও ইতিবাচক হল না জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ৷ ঠিক তেমনই টিম পেইনের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ইংল্যান্ডের কাছে হারল ০–৫ ব্যবধানে ৷ একেবারে হোয়াইটওয়াশ।
স্মিথ–ওয়ার্নারহীন দূর্বল অস্ট্রেলিয়া দল নিঃসন্দেহে আন্ডারডগ হিসাবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল৷ তবে এমন একতরফাভাবে হোয়াইটওয়াশ হতে হবে তাদের, এমনটা আশা করা যায়নি আগে থেকে ৷ সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই ৷ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ম রক্ষার পঞ্চম তথা শেষ একদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় তুলে নেয় ১ উইকেটে সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে৷
ম্যাঞ্চেস্টারে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৩৪.৪ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়৷ ট্রেভিস হেডদলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ৷ ৪২ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি বাউন্ডারি মেরেছেন৷ এছাড়া ডার্সি শর্ট ৫২ বলে অপরাজিত ৪৭ ও অ্যালেক্স ক্যারি৪০ বলে ৪৪ রান করেন৷ বাকিদের মধ্যে দু’অঙ্কের রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ (২২) ও কেন রিচার্ডসন (১৪)৷
মঈন আলি ৪৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন ৷ ৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন স্যাম কুরান৷ এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট ও আদিল রশিদ৷ অস্ট্রেলিয়ার দু’জন ব্যাটসম্যান রানআউট হয়েছেন৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৪৮.৩ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়৷ ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জোস বাটলার৷ তিনি একাই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে৷ ১২২ বলের ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন৷ অ্যালেক্স হেলস ও আদিল রশিদ দু’জনেই ২০ রান করে যোগদান রাখেন৷
শেষ উইকেটের জুটিতে জ্যাক বল যথাযথ সঙ্গত করেন বাটলারকে ৷ ম্যাচের সেরা হয়েছেন বাটলারই ৷ সিরিজ সেরাও তিনি ৷ অজিদের হয়ে শেষ ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন স্ট্যানলাক ও রিচার্ডসন ৷ দু’টি উইকেট মার্কাস স্টইনিসের ৷ একটি উইকেটে পেয়েছন অ্যাস্টন এগর৷