ম্যাচের প্রথম ইনিংসে জেসন রায়ের সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩৮৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে জয়ের বন্দরে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২৮০ রানে। ফলে ১০৬ রানের বড় পরাজয় হয় টাইগার বাহিনীর।
৩৮৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে প্রয়োজন ছিলো ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ৮ রানের মাথায় মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম ইকবালও। দেশসেরা এ ওপেনারের ব্যাট থেকে ২৯ বলে আসে মাত্র ১৯ রান। তবে তৃতীয় উইকেটে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান। দুজন মিলে টানা পঞ্চম ম্যাচে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি। সেটিকে পরিণত করেন ১০৬ রানের জুটিতে।
ব্যক্তিগত ফিফটির খুব কাছে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে ২ চারের মারে ৫০ বল খেলে ৪৪ রান করেন তিনি। কিন্তু ৯৬ বলে সেঞ্চুরি করেন সাকিব। ৯ চার ও ১ ছয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন সাকিব।
তবে নিজের ইনিংসটি বেশি বড় করতে পারেননি বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ব্যক্তিগত ১২১ রানের মাথায় তিনি আউট হন সরাসরি বোল্ড হয়ে। এরপর আর তেমন কিছু করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪০ বলে ২৮), মোসাদ্দেক সৈকত (১৬ বলে ২৬), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৮ বলে ৫) ও মেহেদী মিরাজরা (৮ বলে ১২)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ (রয় ১৫৩, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মর্গ্যান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্লানকেট ২৭*; সাকিব ১০-০-৭১-০, মাশরাফি ১০-০-৬৮-১, সাইফ ৯-০-৭৮-২, মুস্তাফিজ ৯-০-৭৫-১, মিরাজ ১০-০-৬৭-২, মোসাদ্দেক ২-০-২৪-০)
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ (তামিম ১৯, সৌম্য ২, সাকিব ১২১, মুশফিক ৪৪, মিঠুন ০, মাহমুদউল্লাহ ২৮, মোসাদ্দেক ২৬, সাইফ ৫, মিরাজ ১২, মাশরাফি ৪*, মুস্তাফিজ ০; ওকস ৮-০-৬৭-০, আর্চার ৮.৫-২-২৯-৩, প্লানকেট ৮-০-৩৬-১, উড ৮-০-৫২-২, রশিদ ১০-০-৬৪-১, স্টোকস ৬-১-২৩-৩)