করোনা তার সংক্রমণের ভরকেন্দ্র বদলেছে। চীনের পর ইউরোপে এখন মৃত্যুর মিছিল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সে গৃহবন্দি ছিলেন ব্রাজিলিয় স্ট্রাইকার নেইমার। এবার ইউরোপ ছেড়ে নিজের দেশে পাড়ি জমালেন তিনি। ব্রাজিলে ফিরে গেলেন পিএসজির এই ফুটবলার। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরলেন থিয়াগো সিলভাও।
ব্রাজিলের দুই ফুটবলার ফ্রান্স ছেড়ে চলে যাওয়ায় ফরাসিদের উপর করোনা আতঙ্ক আরও জাঁকিয়ে বসেছে। প্রশ্ন উঠছে, নেইমার করোনার কারণে ফ্রান্স ছেড়ে চলে যেতে পারেন, তাহলে সাধারণ ফরাসিরা কতটা নিরাপদ? প্যারিস সাঁ জা-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নেইমার সপরিবারে ব্রাজিলে ফিরে গিয়েছেন।
পিএসজি-র পক্ষ থেকে আগেই ফুটবলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। সকলেই বাড়িতে থেকে যেন ফিজিক্যাল ফিটনেসের দিকে নজর দেয়। তবে দুপুর বারোটার দিকে কেউ যদি বাড়ি থেকে বেরোতে চায় তাহলে কোনও বাধা থাকবে না। নেইমাররা দুপুর বারোটা নাগাদ শহর ছেড়ে বেরিয়ে যান।
সিলভার স্ত্রী ইসাবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, তারা আপাতত ব্রাজিলেই। পিএসজির ফুটবলার-সহ অন্যান্যরা অবশ্য আগেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কেউ আবার থেকে গিয়েছেন ফ্রান্সেই। ডিফেন্ডার মার্কুইনহস যেমন ফ্রান্সেই থেকে যাওয়াটাকে ভাল মনে করেছেন। ব্রাজিলে যাওয়ার তিনি চেষ্টা করেননি।
তবে কোচিং স্টাফদের পক্ষ থেকে ফুটবলারদের কী কী করতে হবে তার একটা নির্দেশিকা আগেই দিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে পিএসজি ফুটবলাররা যখন প্র্যাকটিসে নামবেন, তাদের ক্ষেত্রে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এই দিক নির্দেশ।
নির্দেশিকায় যেমন বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি ফুটবলারকে প্রতিদিন ৮ মিনিট করে ওয়ার্ম আপ করতে হবে। দশ মিনিট করে ওজন তুলতে হবে। সেইসঙ্গে ট্রেডমিলে ৪০ মিনিট বিভিন্ন গতিতে দৌড়তে হবে। তা ছাড়া থাকবে পাঁচ মিনিটের একটা ফের ওয়ার্ম আপ। এভাবেই প্রত্যেকটি ফুটবলারকে ফিটনেস লেভেল ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত করে যেতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পিএসজি টিম ম্যানেজমেন্ট। ইতিমধ্যে ফ্রান্সের দু’টো ডিভিশনের খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কবে সেই খেলা চালু হবে কেউ জানে না। সেই সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন ঘরোয়া লিগের খেলাও বন্ধ। এমনকী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বা ইপিএল থেকে শুরু করে লা লিগা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।