যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাণিজ্য ‘খুবই অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প। ব্রাসেলসের সঙ্গে তাঁর দেশের অনেক সমস্যা রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই অন্যায্যতার কারণে বড় কিছু (সমস্যা) ঘটতে পারে। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইইউ।
গত রবিবার ব্রিটেনের আইটিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) সম্মেলনের ফাঁকে গত বৃহস্পতিবার তিনি এই দীর্ঘ সাক্ষৎকারটি দেন । যে সম্মেলনে ট্রাম্প তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডা বিশ্বের বিজনেস এলিটদের সামনে তুলে ধরেন।
সম্মেলনে গত শুক্রবার ট্রাম্প তাঁর ভাষণে বিশ্ব নেতাদের বলেন, তাঁর আমেরিকা ফার্স্ট নীতি মানে আমেরিকা একা নয়। এ সময় তিনি ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত প্রকাশ করেন, যে চুক্তি থেকে তিনি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসন ওয়াশিং মেশিন ও সোলার প্যানেল আমাদানিতে ট্যারিফ আরোপ করেন। এই পদক্ষেপ এবং ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি কড়া বার্তা দিলেন। এ ছাড়া গত বছর যুক্তরাষ্ট্র কানাডার উৎপাদিত অ্যারোপ্লেনের ওপর ৩০০ শতাংশ শাস্তিমূলক ট্যারিফ আরোপের প্রতিজ্ঞা করে, কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নেতিবাচক বিতর্ক উসকে দেয়।
ট্রাম্প আইটিভিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যখনই বাণিজ্যের জন্য আসে, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুবই অন্যায্য অবস্থান নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমার প্রচুর সমস্যা রয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে—বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা বড় কিছুতে (সমস্যায়) রূপান্তরিত হতে পারে।’
ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের পণ্য এখানে (ইউরোপে) প্রবেশ করাতে পারি না। এটা খুব, খুবই কঠিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা (ইইউ) আমাদের কাছে তাদের পণ্য পাঠাতে পারছে। তাতে কোনো কর নেই বা থাকলেও খুবই সামান্য। এটা খুবই অন্যায্য।’