বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো কমেনি, অর্থনীতি আর জীবিকার তাগিদে একে একে লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। কোভিড-নাইন্টিনের ভয়াল থাবার মধ্যেই কেটেছে অর্থ-বছরের প্রথম প্রান্তিক। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো প্রতিদিনই ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে বিমান সংস্থাগুলোরও।
এমন পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা।
পরিচালক রায়ান এয়ার এডি উইলসন বলেন, আমি মনে করি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে যাত্রীকেই সবার আগে সচেতন হতে হবে। আমরা কাউকেই মাস্ক ছাড়া বিমানে ভ্রমণের সুযোগ দেব না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে। মানুষের প্রয়োজনের স্বার্থেই আমরা ইউরোপের কয়েকটি দেশে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কেবল মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারেই সীমাবদ্ধ থাকছে না বিমান সংস্থাগুলো। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ ফ্লাইট পরিচালনার সময় ব্যক্তিগত যোগাযোগ বন্ধ রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফ্লাইটে কোভিড-সংক্রমণরোধে বন্ধ থাকবে খাবার সরবরাহ। মাস্ক পরাসহ শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ক্রু ও বিমান চালকেরও।
ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন. ডেভিড মরগান বলেন, আমরা এরইমধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণরোধে নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আশা করছি এতে কর যাত্রী ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি সিটে আমরা জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করছি। প্রতিটি ফ্লাইটের আগে পুরো বিমান জীবাণুমুক্ত করার কাজও করছি আমরা।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে আগামী পহেলা জুন থেকে ভ্রমণকারীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে তা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে না প্রতিবেশি আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্স। এর মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে ভ্রমণে অনিহা দেখা দেবে যা বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ক্ষতির কারণ হবে বলেও মত তাদের।