ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ২০২৪ সালের মধ্যে সব ধরনের মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট এবং ক্যামেরার জন্য একটি একক চার্জিং পোর্ট চালুর পক্ষে ভোট দিয়েছে। ইইউর এমন পদক্ষেপ অ্যাপলের জন্য সমস্যার কারণ হবে, কেননা প্রতিষ্ঠানটির আইফোন ভিন্ন পাওয়ার সংযোগের ব্যবহার করে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটটি ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি পূর্ববর্তী চুক্তির জের ধরে অনুষ্ঠিত হয়। যা অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ডিভাইসগুলোর দ্বারা ব্যবহূত ইউএসবি-সি সংযোগকারীদের ইইউ স্ট্যান্ডার্ড করে তুলবে এবং অ্যাপলকে এর ডিভাইসের জন্য চার্জিং পোর্ট পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপীয় গ্রাহকদের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অন্যতম বড় সরবরাহকারীদের মধ্যে অ্যাপল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও বিশ্লেষকরা সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করছেন না। তারা বরং আশা করছেন এটি ক্রেতাদের ইউএসবি-সি প্রযুক্তি নেই, এমন সব গ্যাজেট কিনতে উৎসাহিত করতে পারে।
এ চুক্তিটি প্রযোজ্য হবে ই-রিডার, ইয়ারবাড এবং অন্যান্য প্রযুক্তি গ্যাজেটগুলোর জন্যও। অর্থাৎ এটি স্যামসাং, হুয়াওয়ে এবং অন্যান্য ডিভাইস নির্মাতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও অ্যাপল অতীতে সতর্ক করেছিল, প্রস্তাবটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষতি করবে এবং বর্জ্য তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন চার্জার ব্যবহারের অসুবিধার বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে এ ধরনের উদ্যোগের জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চলছিল। চুক্তিটির পক্ষে ৬০২ ভোট এবং বিপক্ষে মাত্র ১৩ ভোট পড়েছে। যার মানে ইইউ আইনপ্রণেতারা বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সংস্কার উদ্যোগটিকে সমর্থন করছেন।
ইউরোপীয় কমিশন, ইইউর নির্বাহী শাখা অনুমান করেছে যে একক চার্জারটি গ্রাহকদের জন্য প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করবে। অ্যাপল অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।তথ্যসূত্র:বনিকবার্তা