ইথিওপিয়াকে চলমান যুদ্ধাবস্থা অনতিবিলম্বে বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি দাতা সংস্থা। যুদ্ধের কারণে হুমকির মুখে পড়া নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য আপাতকালিন সময়ের জন্য হলেও যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানিয়েছে তারা।
ইথিওপিয়ার সরকার এবং টাইগ্রয় অঞ্চলের রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত গোষ্ঠির মধ্যকার দুই সপ্তাহের যুদ্ধে বহু লোক হতাহত হয়েছেন। অন্তত ৩৩ হাজার লোক সুদানে চলে গেছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসী সংস্থা বলেছে তারা মনে করছে, যদি এই যুদ্ধাবস্থা চলতে থাকে, তাহলে অন্তত দুই লাখ লোক আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশ ছাড়তে পারে।
ইথিওপিয়া সরকার এই বিষয়ে সংলাপেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলছে, চলমান পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব এবং এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এই সংঘাতের শুরুটা হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। ক্ষমতাবান গোষ্ঠি টাইগ্রয় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট ও ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংঘাত কিভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা রকম সংশয়।
করোনাভাইরাসের কারণে গত জুনে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবি আহমেদ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পর সংঘাত পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করে। পিপলস লিবারেশন গ্রুপ বলছে, বর্তমান ইথিওপিয়া সরকার অবৈধ এবং তাদের দেশ পরিচালনার বৈধতা নেই।