ইন্টারভিউয়ে গেলে নিম্নবর্ণিত রঙের পোশাক থেকে দূরে থাকুন।
১. কমলা
এ রংটি আপনি যত পছন্দই করুন না কেন, ইন্টারভিউয়ে গেলে এটা থেকে দূরে থাকুন। ‘ক্যাপটিভোলজি : দ্য সায়েন্স অব ক্যাপচারিং পিপলস অ্যাটেনশন’ বইয়ের লেখক বেন পার নির্দিষ্ট দৃশ্য, শব্দ ও রঙের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁর মতে, কমলা রং আত্মবিশ্বাসের সর্বনিম্ন মাত্রা প্রকাশ করে। আর কর্মীর যোগ্যতা প্রকাশের অন্যতম শর্ত আত্মবিশ্বাস। চারকিদাতাদের ২৫ শতাংশ জানায়, প্রার্থীদের পোশাকের রঙের মধ্যে কমলা সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ও বাজে পছন্দ। এ পোশাকে এলে তাদের পুরোপুরি অপেশাদার বলে মনে হয়।
২. লাল
লালের মতো উজ্জ্বল রং শক্তিশালী আবেগ প্রকাশ করে। এ ছাড়া চাকরির ইন্টারভিউয়ের সঙ্গে লাল রং মোটেও মানানসই নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে ইন্টারভিউ কক্ষে এমন রঙের পোশাক পরে প্রবেশ করা উচিত নয়, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কক্ষের যেখানেই বসেন সেখান থেকেই এ রং পরিষ্কার চোখে পড়ে। এটাও অন্যদের কাছে দৃষ্টিকটু হয়ে ওঠে। সিভিটেলির মতে, চাকরিদাতাদের কেউ হয় লাল পছন্দ করেন কিংবা একেবারেই করেন না।
৩. বাদামি
এ তালিকায় এই রং বেখাপ্পা বলে মনে হবে। কিন্তু কমলা আর লালের সঙ্গে বাদামিও ঠাঁই নিয়েছে তালিকায়। নিরীহদর্শন ও নিরাপদ রং মনে হলেও চাকরিপ্রার্থীদের দেহে এ রঙের পোশাকের বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা করেন প্রশ্নকর্তারা। এ রংটি আসলে খুব বেশি নিরাপদ। আবার বিশ্বস্ততা ও আরামের অনুভূতিও প্রকাশ করে বাদামি রং। তাই আধুনিক ও গতিশীল কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য এ রং হিতে বিপরীত ঘটাতেই পারে।