ভোট এলেই শুরু হয়ে যায় চাপ। প্রার্থী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। সকলকেই পোহাতে হয় বিপুল চাপ। সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকে সেই চাপ।
আর এই চাপের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭২ জন ভোট কর্মী। একই সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পরেছেন ১৮৭৮ জন। যাদের মধ্যে শতাধিক মানুষের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। সাধারণ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রবিবার এই তথ্য জানান হয়েছে।
ভোটের চাপে ভোটকর্মীর মৃত্যু বিষয়টা নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক। তাও আবার সেই সংখ্যাটা যদি হয় ২৭২জন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ইন্দোনেশিয়া।
গত ১৭ এপ্রিল ওই দেশে এক দফায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে। এক দিনে আট লক্ষ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১৯৩ মিলিয়ন মানুষ। যা মোট জনসংখ্যা ২৬০ মিলিয়নের ৮০ শতাংশ। প্রত্যেক ভোটারের পাঁচটি করে ব্যালট পেপার থাকে।
ভোট পরবর্তী কাজের চাপে বহু কর্মি অসুস্থ হয়ে পরেছেন এবং অনেকে প্রাণ হারিয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র আরিফ প্রিয় সুসান্ত। তিনি জানিয়েছেন যে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ২৭২ জন ভোট কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮৭৮ জন অসুস্থ হয়ে পরেছেন। ভোট গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে কর্মিদের এই দুর্দশার জন্য অনেকেই নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছে।
কর্মীদের মৃত এবং অসুস্থ হয়ে যাওয়ার জন্য মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত শারীরিক এবং মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই ওই সকল ভোট কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ অর্থ মন্ত্রণালয় বহন করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সুসান্ত। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।