সোমবার সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার নর্থ সুমাত্রা প্রদেশের টোবা হ্রদে ঝড়ো আবহাওয়া ও দুই মিটার উঁচু ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় একটি পর্যটকবাহী ফেরি। ঐ পর্যটক ফেরি ডুবে প্রায় ১৯২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়,ফেরিটিতে মোটে ৬০ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা থাকলেও দুই শতাধিক যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়ে। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় এত সংখ্যক যাত্রী নিয়েই ফেরিটি ৪০ মিনিটের যাত্রা শুরু করে। এদের মধ্যে অনেক মুসলমান ছিল যারা ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরছিল।
এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। যাত্রার ২০ মিনিটের মধ্যেই বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাঠের ফেরিটি ডুবার সময় তাতে কতজন যাত্রী ছিল সে সম্বন্ধে কোন স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। যার কারণে কর্মকর্তাদের উদ্ধারকাজে বিলম্ব হচ্ছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খারাপ আবহাওয়া।
কর্মকর্তারা ফেরিটির যাত্রীদের পরিবার ও নিখোঁজদের আত্মীয়-স্বজনদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে হিসেব করছেন ঠিক কতজন লোক ফেরিটিতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন। জানা গেছে, ফেরিটি অবৈধভাবে কাজ পরিচালনা করছিল।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান মাহলের তাম্বা বুধবার বলেন, একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয় প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান পাওলাস ওয়াটারপাও বলেন, এমনটা সম্ভব যে, বেশিরভাগ নিখোঁজ মানুষ, এখনো ফেরির ভেতরেই আটকা পড়ে আছেন। কেননা এই ঘটনায় বেঁচে গেছেন এমন অনেকে জানিয়েছে যে, ফেরিটি ডুবার সময় আধা ডজনের চেয়েও কম মানুষ পানিতে লাফ দিয়েছিল। ফেরিটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে ৫ গুন বেশি মানুষ ছিল। এছাড়া ‘লাইফ-জ্যাকেট’ ছিল মাত্র ৪৫টি।
বুধবার পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য ৩৫০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। নতুন করে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ডুবুরি ও পানির নিচে কার্যক্ষম ড্রোন।