এর আগে এশিয়া কাপ এবং এশীয় যুব ক্রিকেটের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এবার ইমার্জিং এশিয়া ক্রিকেটের ফাইনাল উঠল বাংলাদেশ।এর আগেও দুইবার ইমার্জিং এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করলেও এবারই প্রথম ফাইনালে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেট আর ৬১ বল হাতে রেখে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। শনিবার একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ শিরোপা লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আজ বৃহস্পতিবার আফগানদের সাথে সেমিতে লক্ষ্য বড় ছিল না। পেসার হাসান মাহমুদ (৩/৪৮), স্লো মিডিয়াম সৌম্য সরকার (৩/৫৮) আর বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের (২/৩৩) মাপা ও সাঁড়াশি বোলিংয়ে ২২৮ রানে আটকে যায় আফগানরা। মিডল অর্ডার দারউইশ রাসুলি (১২৮ বলে ১১৪) অনবদ্য শতরান না করলে আফগানিস্তানের স্কোর ২০০ হতো কিনা সন্দেহ।
২২৯ রানের মাঝারি লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে অল্প সময়েই নাইম শেখকে (১৭) হারালেও সৌম্য আর শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে দেন। তবে শান্ত আর সৌম্যর কেউই খেলা শেষ করে আসতে পারেননি। দুজনই হাফসেঞ্চুরির পর পঞ্চাশের ঘরেই ফিরে গেছেন। সৌম্য ৫৯ বলে ৬১ আর অধিনায়ক শান্ত ৬৮ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন।
তারপর বাকি কাজটুকু সারেন অপর দুই সম্ভাবনাময় তরুণ আাফিফ হোসেন ধ্রুব আর ইয়াসির আলী রাব্বি। এ দুজন সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রান জুড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে হাসিমুখে সাজঘরে ফেরত আসেন। বাঁহাতি ধ্রুব ৩৬ বলে ৪৫ আর ডানহাতি ইয়াসির রাব্বি ৫৬ বলে ৩৮ রানে থাকেন অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান ইমার্জিং দল : ৫০ ওভারে ২২৮/৯ (দারউইশ রাসুলি ১১৪, ওয়াহিদুল্লাহ শাফাক ৩৪; হাসান মাহমুদ ৩/৪৮, ৩/৫৮, ২/৩৩)
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল : ৩৯.৫ ওভারে ২২৯/৩ (সৌম্য সরকার ৬১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৯, আফিফ হোসেন ৪৫*, ইয়াসির আলি ৩৮*; আবদুল ওয়াসি ২/৪৬)
ফল : বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : সৌম্য সরকার (বাংলাদেশ)।