ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করায় আমেরিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটি বলেছে, ইরানকে একঘরে করে ফেলার চেষ্টা হঠকারী ও ‘ভয়ঙ্কর’। জাপান সফররত তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত আজ (মঙ্গলবার) টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ছয় মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া এক ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল (সোমবার) থেকে ইরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। এবারের নিষেধাজ্ঞায় ইরানের তেল রপ্তানি ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনকে টার্গেট করা হয়েছে।
২০১৫ সালে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। গত মে মাসে ট্রাম্প ওই সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে তার দেশকে বের করে নেন।
ওয়াশিংটন এর আগে হুমকি দিয়েছিল, ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় তারা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার দু’দিন আগে মার্কিন সরকার তুরস্কের পাশাপাশি চীন, ভারত, ইতালি, গ্রিস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকে ইরানের কাছ থেকে তেল কেনার অনুমতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
জাপান সফররত তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ (মঙ্গলবার) টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি খোলাখুলি বলতে চাই, ইরানকে কোণঠাসা করে ফেলার প্রচেষ্টা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয় এবং এ পদক্ষেপ অত্যন্ত ‘ভয়ঙ্কর’। মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের জনগণকে শাস্তি দিচ্ছে যা সম্পূর্ণ অনুচিত।