ইরানের নেতাদের সাথে ‘কোনো পূর্বশর্ত’ ছাড়া এবং ‘তাদের সুবিধামত সময়ে’ দেখা করার প্রস্তাব জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি যে কারো সাথে বৈঠক করবো। আমি বৈঠকে বিশ্বাসী।”বিবিসি।
এমাসের শুরুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তপ্ত মন্তব্য বিনিময়ের পর মি.ট্রাম্পের এই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশিত হলো। মে মাসে একটি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসে, যেই চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মকান্ড কমিয়ে আনার সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার বিষয়ে প্রস্তাবনা ছিল।
২০১৫’র ঐ চুক্তিতে স্বাক্ষর করা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া আর জার্মানির আপত্তি সত্তেও কিছুদিনের মধেই তেহরানের বিরুদ্ধে আবারো সেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সাথে শত্রুভাবাপন্ন ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
মি. ট্রাম্প গতকাল বলেছেন, “তারা যদি বৈঠক করতে চায়, আমরা বৈঠক করবো।” মি.ট্রাম্পের এই বক্তব্যের জবাবে প্রেসিডেন্ট রোহানির একজন উপদেষ্টা হামিদ আবুতালেবি টুইটে মন্তব্য করেছেন ‘পরমাণূ চুক্তিতে ফিরে আসা’ আর ‘ইরান রাষ্ট্রের অধিকারসমূহকে সম্মান’ জানালে আলোচনার পথ সুগম হবে।
এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন ও ইরানি শীর্ষ নেতা আলোচনায় বসবেন। ইরানের সাথে যুদ্ধে জড়ানোর পরিণতি ভয়াবহ হবে – গত সপ্তাহে মি. রোহানির এক মন্তব্যের ক্ষুদ্ধ সমালোচনা করেন মি. ট্রাম্প।
জবাবে মি. ট্রাম্প টুইট করেন যে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধে জড়ালে এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে যা আগে কখনো কাউকে করতে হয়নি ।’ ইরানের সাথে কোনো ‘নতুন চুক্তি’ হতে হলে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের সমর্থন বন্ধ করা সহ ১২টি শর্তের উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।