জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এ ব্যাপারে নানা কূটনৈতিক তৎপরতা ততই জোরদার হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১২ অক্টোবর ইরানের ব্যাপারে তার সরকারের অবস্থান ঘোষণা করবেন বলে কথা রয়েছে। তার সিদ্ধান্ত বা ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে মার্কিন কংগ্রেস পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু বিষয়ে ইরান প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে না এমন দাবি করে কংগ্রেসে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ পরমাণু ক্ষেত্রে ইরান তার প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে বলে আটবার স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন তাহলে তার অর্থ হবে পরমাণু সমঝোতার মৃত্যু। অথচ এ চুক্তির প্রতি ছয় জাতিগোষ্ঠী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
পরমাণু সমঝোতার পর ইউরোপসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ইরানের সঙ্গে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার পাশাপাশি কোটি কোটি ডলার পুঁজি বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় আমেরিকা যদি পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় কিংবা এ চুক্তির কোনো ক্ষতি করে তাহলে নিঃসন্দেহে অন্য বহু দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া, পরমাণু সমঝোতাকে হত্যা করা হলে কিংবা এর কোনো ক্ষতি করা হলে শুধু যে আমেরিকার ইরান বিদ্বেষী মনোভাব ফুটে উঠবে তাই নয় একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং সারা বিশ্বের ওপর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টা হিসেবেও বিবেচিত হবে।