মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রবিবার তুরস্কের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। জানা গেছে, উভয়পক্ষের আলোচনায় গত বছরে তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে সিরিয়া ইস্যু পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে।
উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে টিলারসন ইউক্রেন সফর করেন। সেখান থেকে তুরস্কে পৌঁছে তিনি প্রথমে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুৎ কাভুসোগলু ও পরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাতে ইস্তাম্বুলে এরদোয়ানের বাসভবনে এ বৈঠকের ব্যাপারে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
বৃহৎ জ্বালানী কোম্পানি এজোন মোবিলের সাবেক প্রধান নির্বাহী টিলারসন এর আগে ওয়ার্ল্ড পেট্রোলিয়াম কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বক্তৃতায় তিনি গত বছরের এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। টিলারসন বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে তুরস্কের সাহসী পুরুষ ও নারীরা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি ওই ঘটনায় তাদের সাহসের প্রশংসা ও নিহতদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি।’
বারাক ওবামা শাসনামলের শেষ দিকে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। কিন্তু আঙ্কারা আশা করছে যে ট্রাম্পের অধীনে দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। তবে ট্রাম্পও তার পূর্বসূরি ওবামার সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সিরিয়ান কুর্দিশ পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)’কে সমর্থন দেয়ার নীতিকে অব্যাহত রেখেছে। আর এটি তুরস্ককে ক্ষুব্ধ করছে।
আঙ্কারা ইপিজিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনে করে। সিরিয়ায় গোষ্ঠীটিকে তুরস্ক কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)’র একটি শাখা মনে করে। ১৯৮৪ সাল থেকে গোষ্ঠীটি তুরস্কের ভেতর জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু ওয়াশিংটন খোলাখুলিভাবেই ইপিজিকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।