ইয়েমেনের সকোত্রা দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর আঘাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দু’টি জাহাজ ডুবি ও তিনটি যানবাহন ভেসে যাওয়ার ঘটনায় তারা নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়া বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সকোত্রার রাস্তাঘাট। আরো কয়েকশ’ লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
ইয়েমেনের সরকার-পন্থী বার্তা সংস্থা সাবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দু’টি জাহাজ ডুবির ঘটনায় ১৯ জন নিখোঁজ হয়েছে। সাবার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ইয়েমেন সরকার সকোত্রাকে একটি বিপর্যস্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
ঘূর্নিঝরের প্রভাবে সৃষ্ট ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। মোহাম্মদ আল আরকাবি নামের এক স্থানীয় সাংবাদিক জানান, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। সব জায়গায় বন্যা। গাড়ি ভেসে যাচ্ছে।
আরকাবি বলেন, দ্বীপটির হাদিবু ও উত্তরাংশের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে দুইশ’র বেশি পরিবার। দু’টি ভারতীয় কার্গো জাহাজ নিখোঁজ হয়ে গেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ইয়েমেনের সীমান্ত সংলগ্ন দেশ ওমানের সালালাহ শহরের নিকটে আগামীকাল শনিবার একটি ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এছাড়া যেকোনো সময় ক্যাটাগরি২ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হয়ে উঠতে পারে মেকুনু।
ইয়েমেনে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটির লাখ লাখ নাগরিক শোচনীয় অবস্থার শিকার। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবীয় সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।