কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি খালেদ সুলাইমান আল-জারাল্লাহ ইয়েমেনে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশটি যুদ্ধ বন্ধের রাজনৈতিক উপায় খোঁজারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার কুয়েতের সংবাদ মাধ্যম আরব টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদ আল-জারাল্লাহ বলেন, যুদ্ধে ইয়েমেনে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কুয়েত মনে করে, ইয়েমেন সংকট সমাধানের সর্বোত্তম উপায় হলো আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।
ইয়েমেনের যুদ্ধপীড়িত মানুষের সহযোগিতার জন্য তহবিল গঠনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক দাতাদের আহবান জানানোর জন্য জেনেভায় এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে কুয়েত ঘোষণা দেয়, ইয়েমেনকে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। কুয়েতের এই ঘোষণার ফলে ইয়েমেনের জন্য সংগৃহীত তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ইয়েমেনের মানুষের ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল কুয়েত।
প্রসঙ্গত, ইরান সমর্থিত শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করলে প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদি সৌদি আরবে নির্বাসনে যান। এরপর থেকে দেশটিতে বিদ্রোহী ও সরকার সমর্থিতদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে সৌদি আরব ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনে হামলা শুরু করে। নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই সৌদি আরব ইয়েমেনে হামলা চালায়।
ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধে অন্তত ১১ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ও ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়েছেন কয়েক লাখ ইয়েমেনি।