ডিএমপি নিউজ: এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে গরুরহাট, বিপণীবিতান, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল কেন্দ্রিক কোন ধরনের অপরাধ পরিলক্ষিত হয়নি। কোন ধরনের কোন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অচেতন হওয়ার কোন খবর আমাদের কাছে আসেনি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ঈদুল আযহার নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক আছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আফতাবনগর গরুর হাট পরিদর্শনে এসে একথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
তিনি বলেন, ২৬ টা পশুর হাট হচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে। প্রত্যেকটি হাটে পুলিশ ক্যাম্প আছে। এসব ক্যাম্পে পুলিশ অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে বাঁচতে জনসাধারনকে সচেতন করা, জাল টাকা শনাক্ত করণ ও মানি এস্কর্ট সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়াও চোর, ডাকাত, অজ্ঞান পার্টি ধরার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অপরাধ ঠেকাতে কমিশনার বলেন, কুরবানি হয়ে যাওয়ার পরে চামড়া নিয়ে যাতে কোন ধরনের ঝামেলা না হয়, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরনের অপরাধ করতে না পারে, চাঁদাবাজি করতে না পারে সেজন্য রয়েছে আমাদের নিবিড় দৃষ্টি ও তদারকি।
কমিশনার জানান, ঢাকা শহরের ১৩ পয়েন্টে আমাদের চেকপয়েন্ট বসানো আছে আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত এই চেকপোষ্ট অব্যাহত থাকবে। অপরাধী দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রিভেনশন ছাড়াও চামড়া পাচার বন্ধে আমাদের এই চেকপোষ্ট কাজ করবে। এছাড়াও পুরো মহানগরীতে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট এবং চলছে তল্লাশী কার্যক্রম। কাজ করছে আমাদের গোয়েন্দারা।
ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, সম্মানিত নগরবাসীকে সাথে নিয়ে সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল আযহা ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে এবং আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণ নিরাপত্তায় ঈদের সকল কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য সর্বোচ্চ এবং সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নগরবাসীকে আস্বস্ত করে কমিশনার বলেন, ঈদের দিন, ঈদের পরের দিনগুলোতে যাতে কোন ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় এবং নগরবাসী যাতে মন খুলে, আনন্দের সাথে ঈদুল আযহা পালন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশ, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা ও অন্যান্য শ্রেণীপেশার মানুষদের সাথে নিয়ে আমরা করে যাচ্ছি।