ঈদের পর দিনও স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী। ঈদের পর দিনও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বাড়ছে যাত্রীদের উপস্থিতি।
ঈদের পরে যাত্রী বেশি হওয়ার বিষয়ে এম ভি মিতালী লঞ্চের মাস্টার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজকেও যাত্রী পাওয়া গিয়েছে, আগামীকাল ভাল যাত্রী পাওয়া যাবে এবং তার পরদিন যাওয়ার যাত্রী কবে যাবে। এ সময় সাধারণত স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকে বাড়ি যান। এছাড়া বিভিন্ন মার্কেটে যারা কাজ করেছে এবং হোটেলে কাজ করেছে এ সমস্ত যাত্রী সংখ্যাই বেশি।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, এখনো ঈদের আগে আমরা যেভাবে ডিউটি দিতাম সেই বিশেষ ডিউটি দিচ্ছি। প্রতিবছর ঈদের দিন ঈদের পরদিন এবং তারপর দিনও যাত্রীর চাপ থাকে। তাই আমরাও এ সময় বিশেষ ডিউটি দিয়ে থাকে।
ঈদের দিন বুধবার সদরঘাট থেকে ৯১ টি লঞ্চ ছেড়ে যায় আর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ২৬ টি লঞ্চ ছেড়ে যায় যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদের আগের মতোই এখনও একই নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। সদরঘাট কেন্দ্রিক ও বিভিন্ন বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ঢাকা মহানগর পুলিশ সদস্যরা পালা বদল করে ডিউটি দিচ্ছে। এছাড়া নৌ পুলিশ, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
সড়কপথে যাত্রীর চাপ সম্পর্কে ইউনিক পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে যাত্রীর চাপ রয়েছে। এই তিন রুটে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ২০ টি বাস ছেড়ে যায়। অন্যান্য সময় এই সময়ের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ টি বাস ছেড়ে যেত। আগামী আরো দুই দিন রাজধানী থেকে এমন যাত্রী চাপ থাকবে।