ত্যাগ আর আনন্দে সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় শুরু হয় ঈদের প্রধান জামাত। ঈদের প্রধান জামাতে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
প্রধান ঈদের নামাজের ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এসময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের এবং পঁচাত্তরে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ জামাতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের উদ্দেশ্যে আজ পশু কুরবানি করবেন। সবার ঘরে ঘরে আজ খুশির দিন।
সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদ-উল-আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরেন কুরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় শুরু হয় ঈদের প্রথম জামাত। পর পর পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদ-উল-আজহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করেছেন।