বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের দর্শক এখন আর ওইভাবে নেই। যা আছে তার সবই ইউটিউব-নির্ভর। সে দর্শকদের ফেরাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন ছবিয়াল কর্ণধার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তার তত্ত্বাবধানে ১২ জন নির্মাতা নির্মাণ করবেন ১২টি একক নাটক। এর মধ্যে ৭টি নাটক ঈদুল ফিতরের জন্য নির্মিত হবে। বাকি ৫টি ঈদুল আজহার জন্য। পুরো আয়োজনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ছবিয়াল ঈদ রি-ইউনিয়ন’।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সম্মেলনে ফারুকী জানান, ‘মোস্তফা কামাল রাজ, রেদোয়ান রনি, আশুতোষ সুজন, সরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, হুমায়ূন সাধু, ইশতিয়াক আহমেদ রোমেল, মাহমুদুল ইসলাম, আলি ফিদা একরাম তোজো ও আদনান আল রাজীব নাটকগুলো নির্মাণ করবেন।’
লটারির মাধ্যমে আগামী ঈদে ৭ জন নির্মাতা সিলেক্ট হবেন। এরপরের ঈদে বাকি ৫ জন নির্মাতা নাটক বানাবেন। এগুলো কোন চ্যানেলে প্রচার হবে সেটি কিছুদিন পর জানানো হবে। আর প্রত্যেক নির্মাতাই তাদের নিজস্ব সিগনেচারের বাইরে নাটক নির্মাণ করবেন।
ঈদুল ফিতরের জন্য নির্মিতব্য নাটকগুলোর নাম হচ্ছে- ছাব্বিশ দিন মাত্র, চিকন পিনের চার্জার, বিকেল বেলার পাখি, ছেলেটা কিন্তু ভালো ছিল, পুতুল, আবার তোরা সাহেব হ, নোঙর ফেলি ঘাটে ঘাটে। তবে কোন নাটক কে বানাবেন তা এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ফারুকী বলেন, ‘টেলিভিশন নাটকগুলো দেখা যাচ্ছে একটা নির্দিষ্ট ফর্মুলার মধ্যে আটকে আছে। আমরা এর বাইরে কিছু করতে চাইছি। এতে করে দর্শক আবার যদি দেশি নাটক দেখে সেটাই হবে আমাদের সাফল্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছবিয়ালের এই ১২ জন পরিচালক যে ফরম্যাটে গল্প বলেন, তারা এর থেকে ভিন্ন ফরম্যাটে গল্প বলবেন।’
ফারুকী এ উদ্যোগ সফল হলে এদেরকে দিয়ে টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা নির্মাণ করাবেন বলেও জানালেন। এছাড়াও টেলিভিশন ছবির এই নির্মাতা বলেন, ‘ছবিয়ালের বাকি সদস্যদের দিয়েও দুই ঈদের মাঝে কিছু একটা করার ইচ্ছে আছে। আমরা আবারও ছবিয়ালকে চাঙা করতে চাই।’
নতুন ও পুরাতন অভিনেতারা নাটকগুলোতে অভিনয় করবেন। পুরো প্রক্রিয়া চলবে কমপক্ষে আগামী এক-দেড় বছর। ছবিয়ালের এ উদ্যোগের সঙ্গে আছে গ্রুপ এম ইএসপি ও ধ্বনিচিত্র।