ডিএমপি নিউজঃ আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের পোশাক শ্রমিকদের ছুটি দিতে নির্দেশ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আযহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও প্রাসঙ্গিক’ শীর্ষক এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ছুটি শুরু হওয়ার আগেই শ্রমিকদের বোনাসসহ সব পাওনাদি বুঝিয়ে দিতে ব্যবসায়ী নেতাদের বলা হয়েছে।
ঈদুল আযহার প্রাক্কালে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে রাস্তা-ঘাট যানবাহন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনে গোয়েন্দা নজরদারি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পশুবাহী কোন ট্রাক পুলিশ থামাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে।
মহাসড়কে ১৯৩টি পশুর হাট ও কাছে ২২৬টি হাট বাজার আছে। এই বাজারগুলো যাতে না বসতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ঢাকা মহানগরীতে ২৩টি পশুর হাট থাকবে এবং প্রতি হাটে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে, নির্দিষ্টস্থানে থাকবে সিসি ক্যামেরা। হাসিল তালিকা গরুর হাটে টাঙিয়ে রাখতে হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশে ঈদের জামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের জামাতে যাতে কোন ধরণের নাশকতা না হয় সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার মার্কেটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য হাইওয়ে, লঞ্চঘাটসহ সব জায়গায় আমরা ব্যবস্থা নেব।
চামড়া কেনা-বেচা নিয়ে যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনী নজর রাখবে। সীমান্ত অঞ্চলে চামড়ার মুভমেন্ট আমরা রেসটিকটেড করে দেব।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের তিনদিন আগ থেকে কোন বালুবাহী নৌযান চলতে দেয়া হবে না। আর মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাক, ওষুধ পরিবহন, খাদ্যশস্য, পোশাকের রপ্তানি পণ্য ছাড়া ভারি যানবাহনও চলাচল করতে দেয়া হবে না। এমটি/০১