ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
২১ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কলোনীর বাজার মাঠে গরুর হাট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনার বলেন- এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে গরুরহাট, বিপণীবিতান, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল কেন্দ্রিক কোন অপরাধ সংঘটনের তথ্য আমরা পাই নি। কোন ধরনের কোন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অচেতন হওয়ার কোন খবর আমাদের কাছে আসেনি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ঈদুল আযহার নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক আছে।
তিনি আরও বলেন- ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেকটি পশু হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম আছে। এসব পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে বাঁচতে জনসাধারনকে সচেতন করা, জাল টাকা শনাক্ত করণ ও মানি এস্কর্ট সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়াও চোর, ডাকাত, অজ্ঞান পার্টি ধরার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন-গরুর বেপারীরা যে বাজারে খুশি সেই বাজারে গরু বিক্রি করতে পারবে। যদি কেউ জোর করে গরুর ট্রাক নামানোর চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে।
ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, সম্মানিত নগরবাসীকে সাথে নিয়ে সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল- আযহা ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে এবং আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণ নিরাপত্তায় ঈদের সকল কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য সর্বোচ্চ এবং সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে কমিশনার বলেন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিনগুলোতে যাতে কোন ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় এবং নগরবাসী যাতে মন খুলে, আনন্দের সাথে ঈদুল আযহা পালন করতে পারে সেজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় ডিএপমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।