এর ফলে ভারত থেকে কিন্তু অনেক বেশি তারকা খেলোয়াড় উঠে আসবে। উইম্বলডন এবং বিখ্যাত ঘড়ি প্রস্তুতকারক রোলেক্স কোম্পানি হাত মিলিয়ে ছোট প্রতিভাদের তুলে আনার দিকে নজর দিয়েছেন গত ৪/৫ বছর। এই উদ্যোগটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিজয়, ‘আমাদের সময় জুনিয়র তারকা হিসেবে দুটো লক্ষ্য থাকত।
এক, উইম্বলডনে খেলা; দুই, ডেভিস কাপ। যখন প্রথম জুনিয়র হিসেবে উইম্বলডনে খেলতে যেতাম, তখন আমাদের মধ্যে অনেকেরই পা ঠিকঠাক নড়াচড়া হত না টেনশনে। এখন তো ছোট ছেলেরা উইম্বলডনে প্রচুর সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, বড় আসরে, বড় মহলে নিজেদের ততটা আর নার্ভাস বোধ করছে না এখনকার তারকারা।’ গত ৪০ বছরে এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সিঙ্গলস খেতাব জিতেছেন যুগ্মভাবে দুজন। সিঙ্গলস খেতাব জিতেছেন ১৬টি। নিশিকোরি এবং বিজয় অমৃতরাজ।
এ প্রসঙ্গে বিজয় বলেছেন, ‘আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের প্রতিভা আছে। টেলিভিশনে খেলা দেখায়। যথেষ্ট ভাল পরিকাঠামো। সব দিক থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন পাওয়া যায়। তবু বেশি সংখ্যায় ভাল তারকা উঠে আসছে না। অন্তত ৫০ জন ভাল তারকার উপস্থিতি দরকার, যাতে ভারত প্রবল দাপট নিয়ে টেনিস দুনিয়ায় ঘোরাফেরা করতে পারে।
আমি তো বলব, সবার আগে ভারতীয় খেলোয়াড়দের নিজেদের পায়ে শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিশিকোরি এবং লিটন হিউয়েটের কথাই ভাবুন। উচ্চতায় খাটো, কিন্তু পায়ের জোর এতটাই যে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের টেনিসে খুব ভাল খেলতে পারছে না। রজার ফেডেরার কথাই ধরা যাক। বয়স বেড়েছে, কিন্তু কৈশোর ও যৌবনে পায়ের শক্তি বাড়ানোর দিকে যে নজর দিয়েছিল, তা ভাঙিয়ে এখনও ও দুনিয়া কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এজন্যই তো আসন্ন উইম্বলডনে আমি ওকে ফেভারিট হিসেবে তুলে ধরতে চাই।