ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর উত্তরায় ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) দিয়ে অভিনব কায়দায় গাড়ীর দরজা খুলে চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের নাম-মোঃ হালিম ব্যাপারী ওরফে কামাল হোসেন(৬৮)ও মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী সোহান ওরফে শুকুর(৩৫)।
এসময় তাদের হেফাজত হতে একটি ব্যাগ যার ভিতরে কাগজপত্র, আইডি কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, সীমসহ একটি মোবাইল ফোন, ১ টি ইয়ার ফোন, ১টি মোবাইল চার্জার, ২ টি পেনড্রাইভ ও নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে, ২০২১ বিকাল ৪টায় উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নং সেক্টর এলাকায় একটি প্রাইভেট কারের দরজার লক ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। উক্ত ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান সরদার ডিএমপি নিউজকে জানান, মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। চলমান অভিযানে সংগৃহীত সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাথে চেহারার মিল পাওয়ায় গত ১১ মে রাত সাড়ে ১১ টায় উত্তরা পশ্চিম থানার জমজম টাওয়ার এলাকা হতে মোঃ হালিম ব্যাপারী ওরফে কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর সাথে অপরাধীদের সংরক্ষিত ডেটাবেজের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মিল পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্য মতে ১১ মে দিবাগত রাত ২.৩০টায় বংশাল এলাকা হতে মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী সোহান ওরফে শুকুরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় চুরি হওয়া মালামাল সমূহ তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর, রমনা, কোতয়ালী সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
অপরাধ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এ চোর চক্রের সদস্যদের একজন একাধিক ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) সাথে রাখে। অপর এক সদস্য হাতে ব্যাগ নিয়ে পথচারী সেজে চুরির কার্য সম্পন্ন করার জন্যে সহায়তা করে। এ চক্রের আরেক সদস্য ছাতা বা অন্য কোন প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে নিয়ে ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) বহনকারী সদস্যকে আড়াল করে রাখে। ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) বহনকারী সদস্য অভিনব কায়দায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ির দরজা খুলে চুরির কাজ সম্পন্ন করে।