টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসার আহবান জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের পরিবেশের প্রতিও লক্ষ্য রাখা জরুরি। পরিবেশ নষ্ট করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান চলতে পারবে না। নদী খাল পুনরুদ্ধার করা হবে। এর মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সবাইকে অনুরোধ করবো যাতে পরিবেশের বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজের কর্মকান্ড অব্যাহত রাখে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ’র এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণমানুষের কণ্ঠস্বর : বাংলাদেশে ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জোরদারকরণ’ সেমিনারে আলোচনার বিষয় ছিল ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট : জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ’। পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এম আসাদুজ্জামান।
মন্ত্রী বলেন, এমডিজি অর্জনে সক্ষমতা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এমডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে মেষ হওয়া লক্ষমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ঘোষণা করে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ২০৪১ সালের মেধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।