ঘর সাজানোর উপাদান: ঘরে গ্রীষ্ম উপযোগী উপাদান ব্যবহার করুন। জায়গা বড় দেখাতে ও খোলামেলা ভাব আনতে স্বচ্ছ রং ও পরিষ্কার কোণা বিশিষ্ট উপাদান দিয়ে ঘর সাজান।
চাইলে ঘরে সবুজায়নের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। এতে ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে না। ভাসমান ফুল বা অন্য ভাসমান যে কোনো কিছুর ব্যবস্থা করুন। ঘর সাজাতে এটা ঘরে ঠাণ্ডাভাব আনতে সাহায্য করবে।
ঠাণ্ডা রাখুন: কন্ডিশনার ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ে খেয়াল রাখুন। যেমন- ভারী গালিচা, কম্বল ও অন্যান্য ভারী সামগ্রীর বদলে হালকা, পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহার করুন এবং সাদা, হাল্কা নীল, গোলাপি ও সবুজ রংয়ের প্রাধান্য দিন। এতে ঘরে ঠাণ্ডাভাব বজায় থাকবে।
বাইরে যদি জায়গা থেকে থাকে তাহলে বড় ছোট যেমনই হোক না কেনো তা পরিষ্কার করে বসার জায়গার ব্যবস্থা করুন। জায়গার সমস্যা না থাকলে তাতে বারবিকিউ করার মতো জায়গা রাখুন এবং যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন সেখানে।
যতটা সম্ভব সুতি, লিনেন ও হাল্কা তন্তু ব্যবহার করুন। গরমে এসব উপাদানে আরাম অনুভূত হয়। কুশন, সাজানোর উপাদান বা পেইন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ফুলের নকশার প্রাধান্য দিন। অথবা চাইলে ঘরের এক কোণে তাজা ফুল রাখতে পারেন। এটা ঘরে একটা সতেজ এবং উজ্জ্বলভাব আনে।
পেস্ট বর্ণ: ঘরের আসবাবের ক্ষেত্রে পেস্ট ধর্মী রং ঠাণ্ডাভাব আনে। এই রং দেখে চোখেও ঠাণ্ডাভাবে আসে। খাবার টেবিল, চেয়ার, বিন ব্যাগ, সোফা, ওয়ারড্রব ও বিছানা ইত্যাদি জায়গায় এই রং ব্যবহার করতে পারেন।
‘ফরেস্ট লুক’ বা বনজ-ভাব: গরমে সতেজ অনুভূতির জন্য এটা সবচেয়ে উপযোগী। আসবাবে গাঢ় কাঠের রং এবং সবুজ-পাতার ছোঁয়া ঘরে সতেজভাব আনে। কাঠের পড়ার টেবিল, টিভি রাখার জায়গা, বিছানার পাশে অথবা খাবার টেবিলের উপরে চাইলে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম গাছের ব্যবস্থা করতে পারেন। আরও গোছানোভাব আনতে ওয়ারড্রোবের পাশে বা বাথরুমে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
জেল ম্যাট্রেস: গরমকালে ঘরে ঠাণ্ডাভাব আনতে জেলের ম্যাট্রেস বা পাপোস ব্যবহার করুন। এটা অন্যান্য সাধারণ ফোমের মতো তাপ ধারণ করে না, ফলে ঠাণ্ডা থাকে। মুক্ত বাতাস পরিচালন প্রযুক্তিতে এটা তৈরি বলে ব্যবহার করা আরামদায়ক।
ধাতব ও কাঁচের উপাদান: ঘর সাজাতে ধাতবের ছোঁয়া রাখুন। ঘরে ধাতবের ব্যবহার বিপুল পরিবর্তন আনে। একবার ভেবে দেখুন গাঢ় উপাদানের উপর রূপালি নকশা দেখতে কতটা পরিষ্কার ও নির্ঝঞ্ঝাট লাগবে।
সবার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য: ঐতিহ্যবাহী, ভালো মান সম্পন্ন ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবাব কিনুন। আসবাব কেনার সময় এর স্থায়ীত্বের দিকে নজর দিন। বাজারে পরিপাটি ও স্থায়ীত্ব সম্পন্ন আসবাব খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্ট কর। তাই কেনার আগে দেখে শুনে নিন।