ভিলনিয়াস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন চেক ইন করছিলেন তখন বিমানবন্দরের লোকেরা জানালেন, পাইলট ও কেবিন ক্রুরা তারই অপেক্ষায় রয়েছেন। তখনই খটকা লেগেছিলো এই যাত্রীর। তার তো দেরি হয়নি, তাও কেনো তারই অপেক্ষায়? সে প্রশ্ন করতে তাকে জানানো হলো এই ফ্লাইটে তিনিই একমাত্র যাত্রী! হ্যা এমনটি হয়েছে ইতালি গামী যাত্রী স্কারমান্তাস স্ত্রিমাইতিসের সাথে।
যখন ইতালির জন্য তার ওয়ানওয়ে টিকিটটি বুক করেন তখন তিনি কল্পনাও করেননি এই ফ্লাইটে তিনিই হবেন একমাত্র যাত্রী। কিন্তু লিথুয়ানিয়ার এই নাগরিক তার স্কিয়িং ট্রিপটা মোটেই মিস করতে চাননি। ফলে ভিলনিয়াস (লিথুয়ানিয়ার রাজধানী) থেকে তিনি উড়াল দিলেন উত্তর ইতালির বারগ্যামোর পথে। বাহন বোয়িং ৭৩৭-৮০০।
ঘটনাটি গত ১৬ মার্চের। ১৮৯ আসনের পুরো উড়োজাহাজে করে স্ত্রিমাইতিসকে উড়িয়ে নিতে ছিলেন দুই জন পাইলট। আর সার্বক্ষণিক সেবায় পাঁচ জন কেবিন ক্রু।
মূলত সেদিন চার্টার্ড হয়ে উড়োজাহাজটি লিথুয়ানিয়া এসেছিলো। ফেরার পথে তারা খালি যাবে, তাই ওয়ান ওয়ে টিকিট ছাড়লো। কিন্তু তাতে যাত্রী হিসেবে পাওয়া গেলো কেবল স্ত্রিমাইতিসকেই। তবে সে যাই হোক- ভ্রমণটি ছিলো তার জন্য দারুণ উপভোগের। ‘অবাস্তব হলেও এটাই ছিলো সত্যি, এমনটাই বলেন স্ত্রিমাইতিস।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কেবিন ক্রুদের প্রথম দিকে একটু অস্বস্তিতে পড়েছেন বলেই মনে হয়েছিলো, তবে তারা মানিয়ে নিয়েছেন।’
ফ্লাইট শুরুর আগে এর নিরাপত্তা বিষয়ক যে ডেমনস্ট্রেশন তা যথাযথভাবেই দেয়া হলো, এরপর উড়লো বিমান। পুরো ভ্রমণে সেলফি নিতে নিতে আর কিছু লেখালেখি করতে আনন্দে কাটলো তার।
স্ত্রিমাইতিস জানালেন, ভ্রমণের সময় পাইলট তার দেওয়া বিভিন্ন ঘোষণায় তাকে ‘মি. প্যাসেঞ্জার’ বলে উল্লেখ করছিলেন।