একটি আধুনিক ঢাকা দেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মূল চাবি । আজ রাজধানীতে একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ভিশন অর্জনে ঢাকার নগরায়ন বৃদ্ধি অবশ্যই দক্ষতার সঙ্গে কার্যকর করতে হবে। অবস্থানগত কারণে এটি পূর্ব ঢাকার পূর্ণ সুবিধাসহ করতে হবে, যে স্থানটা নগরীর কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এবং প্রচুর ভূমি পাওয়া সহজসাধ্য। এতে নগরীর অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে এবং সেটা বসবাসের জন্যও সহায়ক হবে।
প্যান প্যাসিফিক সোনার গাঁ হোটেলে ‘টুওয়ার্ডস গ্রেট ঢাকা : ডেভেলপমেন্ট অপশানস ফর ঢাকা টুওয়ার্ডস ২০৩৫’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ব ব্যাংক। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে নীতি নির্ধারক, ঊর্ধতন সরকারি কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র, নগর পরিকল্পনাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রাইভেট সেক্টরের নেতারা যোগ দেন। সংবাদ সংস্থা বাসসের বরাতে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ‘টুওয়ার্ডস গ্রেট ঢাকা : এ নিউ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডিগম ইস্টওয়ার্ড’ শীর্ষক খসড়া প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রাপ্ত ফিডব্যাক প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করার কাজে ব্যবহার করা হবে।
সম্মেলনে উপস্থাপিত খসড়া রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, ঢাকার নগরায়ন নগরীর দ্রুত প্রসারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে ওঠেনি। ফলে তা একটি অপরিচ্ছন্ন ও অসম নগরায়ন প্রক্রিয়ায় রূপ নিয়েছে। যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে নগরী এখন যানজট ও বসবাসের অনুপযোগী এবং বন্যা ও ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ৩৫ লাখ বস্তিবাসীসহ নগরীর অনেক বাসিন্দা এখন প্রায়ই মৌলিক সেবা, অবকাঠামো ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। গত ১০ বছরে গড়ে গাড়ি চলাচলের গতিবেগ (ট্রাফিক স্পিড) ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে ৭ কিলোমিটারে নেমে এসেছে যা হেটে চলার গতিবেগ থেকে সামান্য কিছু বেশি। তীব্র যানজটে ঢাকা এখন প্রতিদিন ৩২ লাখ ঘণ্টা খেয়ে নিচ্ছে।
এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকায় জনসংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা ৩ কোটি অতিক্রম করবে। সামনে এ মহানগরীর জন্য বড় চ্যাল্ঞ্জে অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটাতে সরকার সব সেবা সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।