জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর ১৭ মার্চ পালন করা হয় জাতীয় শিশু দিবস। বিভিন্ন সংস্থা নিজ উদ্যোগে নানান ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। আর এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগ এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ২৩ মার্চ ২০১৯ টাঙ্গাইলের Friendship School (School for Underprivileged Children) এর ১০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঢাকায় নিয়ে আসে ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগ।
টাঙ্গাইলের Friendship School (School for Underprivileged Children) এর ১০ শিক্ষক-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক বাসে শিশুদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিতকরনের জন্য চিকিৎসক সহযোগে দুপুর ১২.০৩ টায় বাস তিনটি শ্যামলীতে পৌঁছে। প্রত্যেক শিশুর জন্য বাস তিনটিতেই রাখা হয় পর্যাপ্ত তরল খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন।
বাস থেকে নেমে সারিবদ্ধ হয়ে সুশৃংখলভাবে শিশুরা শ্যামলীতে অবস্থিত উপ-পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও বিভাগ) এঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম ফুল ও চকোলেট দিয়ে শিশুদেরকে তাঁর কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান। এসময় তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুপুরের খাবারের পর শিশুদেরকে রঙিন ড্রেস ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
দুপুর আড়াই টায় শিশুদেরকে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। তেজগাঁও বিভাগ ও বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের কর্মকর্তাবৃন্দ সেখানে শিশুদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শিশুদেরকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে বঙ্গবন্ধু যাদুঘর ঘুরে দেখানো হয়। এসময় তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, আদর্শ এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে শিশুদেরকে ধারনা দেন।
বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে দুই ঘন্টা অবস্থানের পর শিশুদেরকে শ্যামলীতে অবস্থিত শিশুমেলা’য় নিয়ে যাওয়া হয়। তেজগাঁও বিভাগ ও শিশুমেলা’র কর্মকর্তাবৃন্দ শিশুদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান। টাংগাইল থেকে আসা ১০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর হৈ চৈ ও কলকাকলিতে মেতে উঠে শিশুমেলা প্রাংগন। শিশুরা উপভোগ করে বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর রাইড।
এরপর শিশুদেরকে আবার উপ-পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও বিভাগ) এঁর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হালকা নাসতা দেওয়া হয় শিশুদেরকে।
সন্ধ্যা সাত টায় তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম আনুষ্ঠনিকভাবে শিশুদেরকে বিদায় জানান।
প্রত্যেক শিশুর জন্য বাসে দেওয়া হয় আইসক্রীম, রাতের খাবার, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন।
টাঙ্গাইলে ফিরতে শিশুদেরকে যাতে অনাকাংক্ষিত ট্রাফিক জ্যামে পড়ে কষ্ট না পেতে হয় সেজন্য ডিএমপি’র ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ, ঢাকা জেলা ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ বিশেষ সহায়তা করে।