স্বাগতিক পাকিস্তানের সাথে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনও পার করতে পারল না মুমিনুলের বাংলাদেশ। একটা সময় বড় বিপদেই ছিল টাইগাররা। মনে হচ্ছিল, হয়তো দেড়শও পার হতে পারবে না। তবে মোহাম্মদ মিঠুন আর তাইজুল ইসলামের লড়াকু এক জুটিতে দুইশ পেরিয়ে যায় টাইগাররা।
শেষ পর্যন্ত মিঠুনের হাফসেঞ্চুরিতে ৮২.৫ ওভার ব্যাট করে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছে মুমিনুল হকের দল। বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পরই প্রথম দিনের খেলার ইতি টেনেছেন আম্পায়াররা।
রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও সাইফ। ৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।
এরপরই উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। আর প্রথম ওভারে সাইফের বিদায় আগেই এসেছিলেন নাজমুল শান্ত। দুজন মিলে নেমে পড়েন চাপ সামাল দেয়ার মিশনে। তবে তাদের জুটিটা ছিল পুরোপুরি নড়বড়ে। বিশেষ করে অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাটিং। তিনি ৩০ রান করে শাহীন শাহর শিকার হন ইনিংসের ২২তম ওভারে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ আর শান্ত’র ৩৩ রানের একটি জুটি। শেষ পর্যন্ত শান্ত উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন ৪৪ রানে। তারপর ক্রিজে আসেন মিঠুন । খানিক বাদেই ২৫ রানে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেটের পতনে ৪৬ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৩৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।
তবে সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে প্রায় ২৩ ওভারের মতো কাটিয়ে দেন তাইজুল, দলকে পার করে দেন ২০০ রান। ৫৩ রানের জুটিটি ভাঙে তাইজুলের আউট হওয়ার মাধ্যমে। ৭২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। দলের হয়ে ১৪০ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন মিঠুন।
পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৫৩ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট মোহাম্মদ আব্বাস আর হারিস সোহেলের।