“পাট আমাদের সোনালী আঁশ, বাড়াবো এর ফলন চাষ ও পাট প্রকৃতির অপরূপ দান, পরিবেশে রাখে বিরাট অবদান” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শরীয়তপুর জেলায় আজ রোববার ৪শ’ পাট চাষির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে জেলার সদর, নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৪শ’ নির্বাচিত পাট চাষির উচ্চ ফলনশীল (উফশী) পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচঁন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পাট অধিদপ্তর শরীয়তপুরের আয়োজনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলাম। চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শরীয়তপুরের পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনসহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেলা, উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকগন উন্নত পদ্ধতিতে পাট উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও উন্নত পদ্ধতিতে পাট পচিঁয়ে মান সম্মত আঁশ তৈরি বিষয়ে কৃষকদেরকে ধারণা প্রদান করেন।
জেলার সদর, নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও ডামুড্যা উপজেলায় এই প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার কৃষক রয়েছেন। এছাড়াও উক্ত পাঁচ উপজেলায় উন্নত পাট বীজ উৎপাদনের জন্য প্রতি উপজেলায় ২৫০ জন করে কৃষককে বীজ, সারসহ বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল ইসলাম বলেন, এই সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকার দেশের পাট চাষিদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে পাট থেকে চা-সহ আরও উন্নত শিল্প উপকরণ তৈরির প্রকল্প গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যা বাংলাদেশের পাট শিল্পকে অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। সরকারের সাথে সাথে কৃষকদেরকেও উন্নত পদ্ধতিতে পাট উৎপাদন, বীজ উৎপাদন ও উন্নত পদ্ধতিতে পাট পচিঁয়ে মান সম্মত আঁশ তৈরি করতে সচেষ্ট হতে হবে এবং ফিরিয়ে আনতে হবে সোনালী আঁশের সুদিন।
তাহলে অবশ্যই গুণগত মান সম্মত পাট উৎপাদন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই কৃষকরা বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। আসুন আমরা শুধু নিজেদের জন্যই নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ কে বাস্তবে রূপ দিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে থাকি।