কোনো নাগরিক তথ্য গোপন করে দুই জায়গায় ভোটার হলে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য সার্ভার থেকে লক (বন্ধ) করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এনআইডির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, কমিশন এনআইডি যাচাই করতে গিয়ে টাঙ্গাইলের এক বাসিন্দার তথ্য গোপন করে দু’বার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পায়। এরপর গত মে মাস থেকে তার এনআইডি লক করে রাখা হয়েছে।
লক হলে এনআইডি সংক্রান্ত কোনো কাজই ওই আইডিধারীর পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ ওই এনআইডির নম্বর দিয়ে সার্চ (খোঁজ) করা হলে তার কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না।
সেখানে লেখা থাকবে আইডি নম্বরটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। অবশ্য কেউ দ্বৈত ভোটার হলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিধান আগেই রয়েছে। তবে তা কমিশনের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।
কমিশন চাইলেই সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা করতে পারেন। যদিও অতিরিক্ত ঝামেলা এড়াতে এখন পর্যন্ত ইসির পক্ষ থেকে এমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনবল কম থাকায় আপাতত আমরা দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে মামলায় যাচ্ছি না।
শুধু তার আইডিটি লক করে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই মামলা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে, চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এবার দ্বৈত ভোটার ঠেকাতে ইসি কড়া নজরদারি করছে।
কেউ দ্বৈত ভোটার হওয়ার চেষ্টা করলে তার আগের তথ্য বহাল রেখে পরেরটা বাদ দেওয়ার জন্য মাঠপর্যায়ে ইসির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৭ লাখের মতো ভোটার রয়েছেন। প্রথম থেকে এনআইডি সংশোধন বা হারানো সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নিচ্ছে কমিশন।