ডিএমপি নিউজঃ ১লা ফেব্রুয়ারি’১৮ বৃহস্পতিবার থেকে বাঙালি জাতির প্রাণের মেলা “অমর একুশে বইমেলা” শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দর্শণার্থী, লেখক ও প্রকাশকদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও আনন্দঘন ও প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশে অমর একুশে বইমেলা উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিশ্ছিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
বই মেলায় যেমন সাধারণ দর্শণার্থীর আগমন হয়, তেমনি করে মেলা প্রাঙ্গণে হানা দেয় কিছু বখাটের দল। যাদের কাজ হচ্ছে সময় সুযোগ বুঝে মেলায় আগত স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়ে ও নারীদেরকে ইভটিজিং করা। সাধারণত মেলার যে প্রান্তে লোকজনের সমাগম বেশী সেখানে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এইসব বখাটেদের নিয়ন্ত্রণ করতে মেলায় রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ইভটিজিং বিরোধী বিশেষ টিম। এ বিশেষ টিমের কাজ হচ্ছে মেলায় আগত বখাটেদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। পাশাপাশি মেলায় আগত নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মেলাপ্রাঙ্গণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যে কেউ, এমনকি আপনার আপনজন বা কাছের মানুষও। মেলা প্রাঙ্গণে এমন ঘটনার সম্মুখীন হলে তা প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন। আপনাকে সহযোগিতার জন্য রয়েছে পুলিশের ইভটিজিং প্রতিরোধে বিশেষ টিম।
আপনার অভিযোগটি দ্রুত জানান বইমেলায় অবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। যোগাযোগ করুন এই নম্বরসমূহে, ০১৭১৮-৭১১৮৭৫ (বাংলা একাডেমি এলাকায় পুলিশ কন্ট্রোলরুম) এবং ০১৭৪২-১৬০০৩২ (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় পুলিশ কন্ট্রোলরুম)।
এছাড়াও, নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সমগ্র বইমেলা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। এছাড়াও বইমেলায় স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে রাখা হয়েছে ডিএমপি’র স্পেশাল ইউনিট সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ও ডগ স্কোয়াড। পাশাপাশি বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা দূরবীন দিয়ে দর্শণার্থীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখছে।