প্রথম ৩০ বল থেকে করেছিলেন ৩৪ রান। এরপর এক ওভারেই নিলেন তার চেয়ে বেশি রান! লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড ভেঙেছেন জেপি ডুমিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মোমেন্টাম ওয়ানডে কাপের ম্যাচে এডি লির এক ওভারে তুলেছেন ৩৭ রান!
ঘটনাটা গত বুধবার কেপ টাউনে কেপ কোবরাস ও নাইটের ম্যাচে। ২৪০ রান তাড়ায় ৩৬ ওভার শেষে কোবরাসের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ২০৮ রান। তখন ডুমিনি ব্যাট করছিলেন ৩০ বলে ৩৪ রান নিয়ে। ৩৭তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন লেস স্পিনার এডি লি।
প্রথম বলেই স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকিয়ে লিকে স্বাগত জানান ডুমিনি। পরের বলটি বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা। পরের দুই বলেও ছক্কা, লেগ সাইড দিয়ে। প্রথম চার বলে চার ছক্কা। পরের দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকালে ২০০৭ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হার্সেল গিবসের ছয় বলে ছয় ছক্কায় ৩৬ রানের রেকর্ড ছোঁবেন ডুমিনি।
তবে লির পঞ্চম বলে ২ রানের বেশি নিতে পারেননি এই বাঁহাতি। ওভারের বাকি আর এক বল। লি পরের বলটা করেন নো, সেটা ডুমিনি এক্সট্রা কভার দিয়ে মারেন চার। বাড়তি আরেক বল পেয়েই সেটিকে ছক্কায় পরিণত করেন। এক ওভারে ৩৭!
তাতে ডুমিনি ভেঙে দেন গিবসের রেকর্ড। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ওভারে কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নেওয়ার রেকর্ড এটি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আলাউদ্দিন বাবুর এক ওভারে ৩৯ রান নিয়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান এল্টন চিগুম্বুরা।
এমন কীর্তির পর ডুমিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক দিন আপনি এমন সুযোগ পাবেন না। অবশ্যই আমি এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেছি। আমি বোনাস পয়েন্টের কথা ভেবেছি। বোনাস পয়েন্ট পেতে চার ওভারে আমাদের ৩৫ রান দরকার ছিল। সুতরাং আমি এডিকেই বেছে নিয়েছি।’
৩৭ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন ডুমিনি। তার দল বোনাস পয়েন্টসহ ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান
রান | ব্যাটসম্যান | বোলার | ম্যাচ | ভেন্যু | সাল |
৩৯ | এল্টন চিগুম্বুরা | আলাউদ্দিন বাবু | শেখ জামাল বনাম আবাহনী | ঢাকা | ২০১৩-১৪ |
৩৭ | জেপি ডুমিনি | এডি লি | কেপ কোবরাস বনাম নাইট | কেপ টান | ২০১৭-১৮ |
৩৬ | হার্সেল গিবস | ভন বাঙ্গ | দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নেদারল্যান্ডস | সেন্ট কিটস | ২০০৬-০৭ |
৩৫ | রাইফি গোমেজ | রনি তেজি | হায়দরাবাদ বনাম কেরালা | চেন্নাই | ২০০৯-১০ |
৩৪ | ভিভ রিচার্ডস | ডেভিড গ্রাভেনি | সমারসেট বনাম গ্লুচেস্টারশায়ার | টাউনটন | ১৯৭৭ |