চট্টগ্রামের মত্স্য অবতরণ কেন্দ্রগুলো এখন দিনে দুইবার ইলিশে ভরে উঠছে। ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে রীতিমতো সরগরম এসব মত্স্য বিক্রয়কেন্দ্র। কারণ, বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। চট্টগ্রাম জেলায় ইলিশের দুই প্রধান প্রজনন পয়েন্ট মিরসরাইয়ের সাহেরখালী ও বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে। এবারের মাছগুলো অপেক্ষাকৃত মাঝারি ও বড় আকারের। তবে অনেক ঝাটকাও জালে আটকা পড়ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কাট্টলী রাসমনি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সব জেলের জালে এক থেকে দুই মণ করে ইলিশ ধরা পড়েছে। আকারভেদে প্রতিমণ ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মত্স্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ সমিতির সভাপতি লিটন জলদাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাদের সমিতির অধীনে প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবার আছে। সবার জালে কমবেশি ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন সব মিলে ৫০/৬০টি ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড়ছে। সামনের পূর্ণিমা এবং অমাবশ্যায় আরো বেশি ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা মত্স্য কর্মকর্তা প্রভাতী দেব জানান, সরকারি নির্দেশে দীর্ঘদিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা এর সুফল পাচ্ছেন।
অন্যদিকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় চট্টগ্রামে ইলিশের দাম কমে এসেছে। শুক্রবার সকালে কাজীর দেউড়ি ও চকবাজারে দেখা গেছে, মাঝারি সাইজের এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩’শ থেকে সাড়ে তিন’শ টাকায়। গতসপ্তাহে একই আকারের ইলিশের কেজি ছিল ৬-৭’শ টাকা। যদিও শুক্রবারের বাজারেও প্রতিকেজি বড় ইলিশের দাম ৫’শ টাকার ওপরেই ছিল।