বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “গত বছর তিক্ত যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কয়েকদিন আগে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করেছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মশা মারতে যে ওষুধ আনা হয়েছে এবং মজুদ রয়েছে, সেসব ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ওষুধের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
“আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের ওষুধ উভয় সিটি করপোরেশনের কাছে মজুদ আছে। এসব ওষুধ স্প্রে করার জন্য যে পরিমাণ যন্ত্রপাতি দরকার, তাও আছে বলে আমাকে অবহতি করা হয়েছে।”
দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য প্রতি ওয়ার্ডে ত্রিশজন করে লোকবল চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লোকবলের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
গতবছর সারা দেশে এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরো বছরে এক লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় অন্তত ১৬৪ জনের।
এবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জলাবদ্ধতা এড়াতে প্রস্তুতি জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “সবার জন্য স্বস্তিকর নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। সেই কাজ করতে গিয়ে পুরো সফলতা অর্জন করিনি। পিছিয়ে আছি তাও নয়। বনশ্রীর খাল সংস্কার করা হচ্ছে, রূপনগর খালে অনেক ময়লা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। আমি নির্দেশনা দিয়েছি ত্রিশ ফুট হলে ত্রিশ ফুটই খনন করা হোক।”
পুরো লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলেও ঢাকার রাস্তাঘাট এখন আগের তুলনা পরিষ্কার হয়েছে।