৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় শাবনূরকে।ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গেড়ে বসে আছেন নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল এ অভিনেত্রী। দক্ষতার সাথে অভিনয় করেছেন শতাধিক ছবিতে। অভিনয়ের পাশাপাশি এবার ছবি পরিচালনারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন গুণী এ অভিনেত্রী।
পরিচালনায় আসার কথা নিজেই জানিয়েছেন শাবনূর। বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিচালনার ইচ্ছা বহুদিনের। চাইলে অনেক আগেই পরিচালনায় আসতে পারতাম। কিন্তু আমি চেয়েছি যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ করতে। এখন সেই সময় এসেছে বলে মনে করি।’
শাবনূর আরও বলেন, ‘অনেকে বলেছেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনে এখন অস্থিরতা চলছে। এর মধ্যে কাজ করা খুব কঠিন। আমি জানি না চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এখন পরিস্থিতি কতটা অনুকূলে। সবকিছু যদি অনুকূলে না থাকে তবে পরিচালনার কাজটা সম্ভব নয়। তাই যা কিছুই করি না কেন, ভেবেচিন্তেই করব। ভালো কিছুর জন্য ধৈর্য ধরতে আপত্তি নেই।’
১১ মাস পর সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন শাবনূর।দেশে আসার পর শোবিজ জগতের সহকর্মী রোজিনা, অমিত হাসান, ওমর সানি ও মৌসুমীসহ অনেকেই দেখা করতে শাবনূরের বাসায় যান।চলে আড্ডা ও গল্প।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকর এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পদার্পণ শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও বাংলা সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক প্রয়াত সালমান শাহের সঙ্গে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান শাবনূর। একে একে এ জুটি উপহার দিতে থাকেন সুপারহিট সব ছবি। এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি শাবনূরকে।
২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ক্যারিয়ারের একমাত্র ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেন শাবনূর। তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে রেকর্ড পরিমান ১০ বার ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ ঝুলিতে পড়ে জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর। এছাড়া সাত বার লুফে নেন বাচসাস পুরস্কারও।